আগামী সংসদ নির্বাচনে কোন কারচুপি হবে না। দেশে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে ১৪ দলের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের ঐক্যফ্রন্টের সংলাপে শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
রাজবন্দীর মুক্তি এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড প্রস্তুতসহ ঐক্যফ্রন্টের দাবি দাওয়া মেনে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের দাবি-দাওয়া মেনে নিয়েছেন শেখ হাসিনা। তবে তারা আজকে আরও কিছু দাবি দাওয়া তুলে ধরেছেন। সেগুলো মানতে গেলে নির্ধারিত ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব নয়।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, সংবিধানের বাহিরে গিয়ে কোন নির্বাচন হবে না। তবে নির্বাচনে সকল দলের মনোনীত প্রার্থীরা সমান সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন।
কাদের আরও বলেন, সংবিধান অনুসারে যখন নির্বাচন হওয়ার কথা, ঐক্যফ্রন্টের নেতারা সেটির পরিবর্তে সংসদ ভেঙে দিয়ে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের দাবি করেছেন। এর মাধ্যমে তারা নির্বাচন পেছানোর বাহানা করছেন।
তিনি বলেন, সংলাপে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে দাবি করেছে, তা মূলত নির্বাচন পেছানোর বাহানা। ঐক্যফ্রন্টের দাবিগুলোর মাধ্যমে আমরা আবারও ১/১১’র মতো অপশক্তির অস্বাভাবিক সরকার আসার আশঙ্কা করছি।
তবে ওবায়দুল কাদেরের দাবি, আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে। তাদের অনেক দাবি আমাদের মেনে নিতে কোনো আপত্তি নেই। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাদের আশ্বস্ত করেছেন— অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে যা করণীয়, সবই করা হবে। মন্ত্রীরা নির্বাচনের প্রচারণায় কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধা নেবেন না।
বিডি প্রতিদিন/০৭ নভেম্বর ২০১৮/আরাফাত