প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের মানুষের সম্পদ বিদেশিদের কাছে তুলে দিবো, দেশের মানুষের কাজে না লাগিয়ে; এ নীতি নিয়ে আমরা বড় হইনি। এ নীতি নিয়ে আমরা তৈরি হইনি। আমরা নীতি নিয়ে চলি। সবসময় এটাই চিন্তা করি দেশের জন্য কতটুকু কাজ করতে পারব। দেশটা আমাদের, দেশকে ভালোবেসেই রাজনীতি করি। আমার বাবা দেশটা স্বাধীন করে দিয়ে গেছেন। এখানে আমার নিজের ব্যক্তিগত আকাঙ্ক্ষা বা চাওয়া-পাওয়া নেই। আমি শুধু দেশের মানুষের কল্যাণের জন্যই কাজ করে যেতে চাই। বাংলাদেশকে যাতে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দেয়া বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ২০০১ থেকে যারা ক্ষমতায় এসেছিল, বিএনপি-জামায়াত, তাদের কার্যক্রম আপনারাই ভালোভাবে জানেন, কীভাবে তারা সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দিয়েছিল। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা থেকে শুরু করে, ১০ ট্রাক অস্ত্র কারবারি থেকে শুরু করে, হেন কোনো অপকর্ম নাই তারা যা না করেছে। তারা দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল সারা বিশ্বে। সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের মান-সম্মান ধূলায় লুণ্ঠিত হয়েছিল। তাদের অপকর্মের ফলে সাতটা বছর হারিয়ে গেল।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ নির্বাচনে আমরা সরকার গঠন করি। আমার কাছে সরকার গঠনের মানে হল দেশের মানুষের সেবা করার একটা সুযোগ পাওয়া। সরকারে এসে নিজের ভাগ্য গড়া নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য কীভাবে গড়ব তার ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। সেভাবেই কাজ করে গেছি। যার ফলাফল দেশের মানুষ পেয়েছে। আজকে একেবারে তৃণমূল মানুষের ভাগ্য যাতে উন্নত হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই কিন্তু আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এর মধ্যে অনেক চড়াই-উৎরাই পার হতে হয়েছে। অনেকবার বাধা এসেছে। অনেক সমস্যা এসেছে। একদিকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, অন্যদিকে জন মানে কিছু গোষ্ঠী বা দল সৃষ্ট দুর্যোগ। সেগুলো আমাদের মোকাবেলা করতে হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা