১৬ জুন, ২০১৯ ১৪:৩৩

লটারিতে ভাগ্য খুলল সিন্ডিকেট চক্রের, কপাল পুড়ল চাষির!

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:

লটারিতে ভাগ্য খুলল সিন্ডিকেট চক্রের, কপাল পুড়ল চাষির!

সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে গম কিনে ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার কথা থাকলেও এর উল্টো ঘটছে ঠাকুরগাঁওয়ে। লটারি করে চাষিদের ভাগ্য তো খুলছেই না বরং পুড়েছে। আর মোটা অংকের লাভের টাকা পকেটস্থ করছে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তা আর সিন্ডিকেট চক্র। 

খাদ্য গুদামে কৃষকরা গম দিতে পারছেন না, প্রায় প্রতিদিনই গম নিয়ে ফিরে আসছেন চাষিরা।

জেলা খাদ্য বিভাগ জানায়, এবার প্রতিকেজি ২৮ টাকা দরে জেলার ৫ উপজেলায় ৬ হাজার ৬০৯ মে. টন গম কিনবে খাদ্য বিভাগ। এ লক্ষ্যে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহে গম চাষিদের নিয়ে লটারি করা হয়। লটারিতে ভাগ্যবান চাষিরা গম দিতে পারবে খাদ্য গুদামে। কিন্তু ভাগ্যবান চাষিরা গম নিয়ে ফিরে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তাদের কাছ থেকে গম কেনা হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন সদর উপজেলার রামপুর গ্রামের শংকর রায়, মহেশালী গ্রামের জব্বার আলী, সারালী গ্রামের আমিরুল ইসলামসহ অনেকে। 

সদর উপজেলার মহেশালী গ্রামের আমির হোসেন বলেন, উৎপাদন খরচ নিশ্চিত করতে সরকার ভালো দরে গম কিনছে। কিন্তু লটারি করেও কৃষকের কাছ থেকে গম নেওয়া হচ্ছে না। তাদের গম ফেরত দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। 

তার মতোই ফুটকী বাড়ি গ্রামের মো. আব্দুল জব্বার বলেন, লটারিতে ভাগ্য খুলেছে সিন্ডিকেট চক্রের। আর কপাল পুড়েছে চাষিদের। কৃষকের গম ঢুকছে না, ঢুকছে সিন্ডিকেট চক্রের।

ওই গ্রামের ভাগ্যবান আরেক গম চাষি ফজলুর করিম বলেন, উৎকোচের টাকা না দেওয়ায় তাদের গম ফিরিয়ে দিচ্ছে কর্তৃপক্ষ। 

শিবগঞ্জ খাদ্য গুদামের দায়িত্বরত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, এই গুদামের আওতায় বরাদ্দ পাওয়া গম কেনা শেষ হয়েছে। অথচ শনিবার ও রবিরার গম নেওয়া হয়েছে-এমন প্রশ্ন করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এ ব্যাপারে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিপ্লব কুমার রায় সিংহ বলেন, এ অভিযোগ খতিয়ে দেখা হবে। 

বিডি প্রতিদিন/হিমেল

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর