বিএনপি’র গণতন্ত্র রক্ষার নমুনা দেশের গণতন্ত্রের জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ মন্তব্র করেন।
তথমন্ত্রী বলেন, ‘দেশবাসী ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে বিএনপি’র গণতন্ত্র রক্ষার নমুনা দেখেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, দেশের জনগণ তাদেরকে আর তা করতে দেবে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের মাল্টিমিডিয়া অ্যান্ড ক্রিয়েটিভ টেকনোলোজি (এমসিটি) বিভাগ ‘এমসিটি ক্যারিয়ার এক্সপো-২০১৯’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
ভারপ্রাপ্ত ভাইস চ্যান্সেলর এসএম মাহবুব উল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে টেলিভিশন ও শিল্পকলা একাডেমির সাবেক মহাপরিচালক মোস্তফা মনোয়ার। এমসিটি বিভাগের প্রধান ড. শেখ মুহাম্মদ আলেয়ার ও ক্যারিয়ার ডেভলপমেন্ট সেন্টারের পরিচালক আবু তাহের খান অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
হাছান বলেন, অগণতান্ত্রিকভাবে বিএনপি’র জন্ম হয়েছে। জিয়াউর রহমান কতিপয় সুযোগ সন্ধানীকে সঙ্গে নিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করেন। তারা গণতন্ত্রকে কলুষিত করেছেন। জিয়া অগণাতান্ত্রিকভাবে সুযোগ সন্ধানীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি গঠন করেন।
তিনি বলেন, উচ্চ আদালতের রায়ে জিয়ার সব কর্মকাণ্ডই অবৈধ হয়ে গেছে। বিএনপির রাজনীতি মূলত মিথ্যাচারের উপর প্রতিষ্ঠিত। এজন্যই দেশের জনগণ আর তাদের (বিএনপি) বিশ্বাস করে না।
আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে, গণতন্ত্র রক্ষায় একটি শক্তিশালী বিরোধী দল প্রয়োজন। আমরা যুক্তি-ভিত্তিক গঠনমূলক সমালোচনা চাই। কিন্তু বিএনপি সব সময় অন্ধভাবে সমালোচনা করে। এটা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি।'
বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের বিক্ষোভ মিছিলের ব্যাপারে ড. হাছান বলেন, তারা স্বাধীনভাবে যে কোন রাজনৈতিক কর্মসূচিই করতে পারেন। তবে, যদি তারা আন্দোলনের নামে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অরাজগতা সৃষ্টি করতে চান, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে।
বিএনপি নেত্রী সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে হাছান বলেন, সরকার বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মামলায় কখনো কোন ধরনের হস্তক্ষেপ করেনি।
ড. হাছান আরো বলেন, বেগম জিয়া ইতোমধ্যেই কয়েকটি মামলায় জামিন পেয়েছেন। আদালতই সিদ্ধান্ত নেবেন যে তাকে মুক্তি দেয়া হবে কি না। অন্য কোন উপায়ে তাকে মুক্ত করা যাবে না। তিনি বলেন, দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে বেগম জিয়া কারাগারে আছেন। শুধুমাত্র আদালতের রায়েই তিনি মুক্তি পেতে পারেন। তাই আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্ত করা সম্ভব নয়।
বিডি-প্রতিদিন/২২ জুন, ২০১৯/মাহবুব