২৪ জুন, ২০১৯ ২১:৩২
মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টা চলছে

'নিরাপত্তাহীনতার কারণেই রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে'

নিজস্ব প্রতিবেদক

'নিরাপত্তাহীনতার কারণেই রোহিঙ্গারা ফিরে যেতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে'

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন সংসদে জানিয়েছেন, নিরাপত্তাহীনতার কারণেই রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে। এ কারণে যাবতীয় প্রস্তুতি থাকার পরও ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়া শুরু সম্ভব হয়নি। তবে আশা করা যায়, মিয়ানমান শিগগিরই রাখাইন রাজ্যে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করবে। দ্রুত রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হবে। রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক কূটনীতি পরিচালনার পাশাপাশি মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে সব ধরনের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ফোরামে জোর কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। 

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বাজেট অধিবেশনে সোমবার ইসরাফিল আলমের (নওগাঁ-৬) লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব তথ্য জানান। 

এর আগে বিকেল সোয়া ৫টায় দিনের কার্যসূচি শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর পর্ব টেবিলে উত্থাপিত হয়। 

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও জানান, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে সরকারের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। রাখাইন রাজ্যে যথাযথ সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক মহল মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে। 

একই প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বর্তমানে ৯০ লাখ বাংলাদেশি বিভিন্ন দেশে কর্মরত আছেন। মানব পাচারের শিকার বিভিন্ন দেশের জলসীমায় উদ্ধারকৃত দুই হাজার ৫৫ জনসহ লিবিয়া, থাইল্যান্ড, ইয়েমেন, জার্মানি, মিয়ানমার থেকে প্রায় ৪০ হাজার বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। এছাড়া, ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলো থেকে অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত আনতে স্বাক্ষরিত সমাঝোতা স্মারকের মাধ্যমে ৩৪৩ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর