আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনার সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। একই সঙ্গে ২০২০ সালের মধ্যে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের সবাইকে স্বাচ্ছন্দ্যভাবে পত্রিকা পড়া বা যে কোনো বাংলা রচনা পড়ার মতো সক্ষম করে তুলতে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ৫০৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুম যন্ত্রপাতি ক্রয়ের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
সংসদ ভবনস্থ কেবিনেট কক্ষে বুধবার অনুষ্ঠিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান। কমিটির সদস্য মো. জাকির হোসেন, ইসমাত আরা সাদেক, আলী আজম, মো. নজরল ইসলাম বাবু, শিরীন আখতার ও ফেরদৌসী ইসলাম বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে কমিটি সদস্য মো. নজরুল ইসলাম বাবু সাংবাদিকদের বলেন, কমিটি শিক্ষার মান বাড়াতে সংশ্লিষ্টদের সশরীরে বিদ্যালয় পরিদর্শন ও রিপোর্ট জমাদানের পাশাপাশি স্কুলগুলোকে অনলাইনভিত্তিক 'ই-মনিটরিং' এর আওতায় আনতে বলা হয়েছে। এছাড়া মান সম্মত শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের যোগ্য করে গড়ে তোলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ‘ডিজিটাল প্রাথমিক শিক্ষা প্রকল্প’ এর আওতায় নির্বাচিত ৫০৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের মাল্টিমিডিয়া ক্লাস রুমগুলো কেন্দ্রীয় পর্যায়ে মনিটরিং করার জন্য বায়োমেট্রিক উপস্থিতি ডিভাইস, ওয়াই-ফাই ক্লাউড ক্যামেরা ও ওয়াই-ফাই রাউটার যন্ত্রাংশ/মালামাল/সেবা ক্রয়ের জন্য পাঁচটি লটে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
এছাড়া চলমান ‘প্রি-ভোকেশনাল স্কিলস প্রশিক্ষণ কর্মসূচি’র আওতায় বিভিন্ন ট্রেডে ১৬ হাজার ৫০০ জন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে ৮ হাজার ১২৫ জন প্রশিক্ষণার্থীর কর্মসংস্থান হয়েছে বৈঠকে জানানো হয়।
এছাড়াও বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন