আগামী ২৯ মার্চ বগুড়া-১ আসনের (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ আসনে প্রার্থী হতে এসে আটক হলেন আব্দুল মান্নান নামে স্বতন্ত্র প্রার্থী। তিনি রাজারবাগ পুলিশ লাইনের ক্যান্টিন বয়, সেখানে তিনি বাজার করে দেন। মিথ্যা তথ্য দেয়ায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) তাকে আটক পুলিশে সোপর্দ করেছে।
ইসির আইন শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব বিপ্লব দেব নাথ জানান, আব্দুল মান্নান স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু তিনি আইনে নির্ধারিত ১ শতাংশ ভোটারের সমর্থন সূচক প্রমাণ দেখাতে না পারায় গত ১ মার্চ মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা।
সংসদ নির্বাচন আইন অনুযায়ী, কেউ স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাইলে সংশ্লিষ্ট আসনের ১ শতাংশ ভোটারকে সমর্থক হিসেবে দেখাতে হয়। এক্ষেত্রে ১ শতাংশের ভোটারের নাম ও স্বাক্ষরের তালিকা জমা দিতে হয় মনোনয়নপত্রের সঙ্গে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্ত বিপক্ষে যাওয়ায় আব্দুল মান্নান নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। গতকাল বিকেলে আপিলের শুনানিতে তিনি ছয়জন সমর্থক নিয়ে আসেন। যারা ভুয়া ভোটার হিসেবে প্রমাণিত হয়। ফলে আব্দুল মান্নান ও তার ছয় সহযোগিকে শের-ই-বাংলা নগর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে নির্বাচন কমিশন।
জানা যায়, আব্দুল মান্নানের ছয় সহযোগীর মধ্যে রয়েছেন- বগুড়ার সোহেল রানা ও সুলতান, নোয়াখালীর রুবেল, কক্সবাজারের মাহবুবুর রহমান হৃদয়, কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীরর লাবলু ও ময়মনসিংহের ফুলপুরের নূরুল ইসলাম। তারা সবাই রাজারবাগ পুলিশ লাইনে বিভিন্ন ক্যান্টিনে কাজ করেন।
আব্দুল মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, 'হিরু আলম বগুড়া-৪ আসন থেকে যদি দাঁড়াতে পারে। আমি কেন পারবো না। তাই খারাইতে চাইছিলাম। একাদশ সংসদ নির্বাচনের সময় আইনজীবী আইন নিয়ে আসছিলাম। সমস্যা হয় নাই। এবার নিজেই হিচিং করসে আইসা ধরা খাইলাম।'
আপিল শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশন (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার ও ইসি সচিব উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, যশোর-৬ আসনের উপ-নির্বাচনের জাতীয় পার্টির বৈধ প্রার্থী হাবিবুর রহমান আওয়ামী লীগের বৈধ প্রার্থী শাহীন চাকলাদারের মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে আপিল করলে কমিশন তার আবেদনটিও শুনানিতে নামঞ্জুর করেছেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত