ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশন গঠন করে ১৫ আগস্টের মূল হোতাদের মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে দলীয় কার্যালয়ে সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এমন দাবি করেন তিনি।
১৫ আগস্টের নিরাপত্তা এবং আজকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা এখন আমাদের ভাবনার বিষয় উল্লেখ করে নানক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যুদ্ধাপরাধী ও স্বাধীনতা বিরোধীদের বিচার করা হয়েছে তারা কিন্তু বসে নেই। তাদের অনুসারীরা যে কোন মুহূর্তে তারা হানা দিতে পারে তাই আমাদের সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে।
৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রেক্ষাপটে উল্লেখ করে নানক আরও জানান, আমি তখন বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। সে সময় আমি ঢাকায় এসেছিলাম। সে দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর আসার কথা ছিল। সেজন্য আমি ঢাকায় এসেছিলাম। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে বেশ সাজসজ্জিত করা হয়েছে। কারণ সকালে বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে আসবেন। তখন শেখ কামাল ভাইয়ের সঙ্গে সেখানেই আমার শেষ কথা হয়।
তখন কামাল ভাই আমাকে দেখে বললেন, ‘আমার বিভাগ দেখেছো। আমি বললাম, দেখিনি, দেখবো। পরে উনি, আমি তৈরি হয়ে আসি বলে বাসার উদ্দেশ্যে ক্যাম্পাস ছাড়েন। আমরা উনাকে সালাম দিলাম, এই সালাম বিনিময়ের পরেই উনি চলে গেলেন। পরে আমি সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে বন্ধু কাশেম রুমে গিয়ে রাত থাকলাম। সেখানে গিয়ে ঘুম আর হলো না। কারণ ভোরবেলাই যাব আমরা, বঙ্গবন্ধু আসবেন। আমরা হৈ চৈ করছিলাম। এর মধ্যেই শুরু হলো গুলোগুলির শব্দ, কামানের গোলার শব্দ। ধুম-ধুম আওয়াজ হচ্ছে। এতে আমরা হতচকিত হয়ে খবর নিতে শুরু করলাম। এর মধ্যেই খবর ছড়িয়ে পরলো যে, বঙ্গবন্ধুর বাড়ি আক্রমণ করা হয়েছে। এর মধ্যেই কেউ রেডিও ধরলো। তখন রেডিওতে বললো, যে আমি মেজর ডালিম বলছি, শেখ মুজিবকে হত্যা করা হয়েছে। এগুলো শোনার পরে আমি ও আমরা বন্ধু কাশেম বেরিয়ে গেলাম, আব্দুর রব সেরিনিয়াবাত সাহেবের বাসায়। আমরা ওখানে গিয়ে দেখি সব ধ্বংস হয়ে গেছে। এরপরে বহু কথা আছে যা এখন বলতে চাই না।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত