অর্থ পাচারের অভিযোগে দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিন ও ডেসটিনি-২০০০ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেনের করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে ওই দুইজনের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতে মামলার বিচার চলতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন দুদকের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন। ডেসটিনির দুই কর্মকর্তার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড হেলাল আমিন। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
ডেসটিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেনসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই রাজধানীর কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করে দুদক। ২০১৪ সালের ৪ মে দাখিল করা অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেওয়া হয়। এতে আসামি করা হয় ৫৩ জনকে। ৪ হাজার ১১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ এবং এর মধ্যে ৯৬ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে। ২০১৬ সালের ২৪ আগস্ট সকল আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এই অভিযোগ গঠনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করেন রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেন।
হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ২৪ নভেম্বর এ আবেদন খারিজ করে দেন। এ আদেশের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে আপিল বিভাগে আবেদন করেন ডেসটিনির ওই দুই কর্মকর্তা। গতকাল এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
এ মামলায় নগদ আড়াই হাজার কোটি টাকা অথবা গাছ বিক্রি করলে দুই হাজার ৮শ কোটি টাকা ছয় সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিলে রফিকুল আমিন ও মোহাম্মদ হোসেনের জামিন পাবেন বলে আপিল বিভাগ ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর আদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা টাকা দিতে না পারায় আর জামিন হয়নি। ফলে তারা এখনও কারাবন্দি।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত