পদ্মা সেতুতে আঘাতের ঘটনা যেন বারবার না ঘটে, সে বিষয়ে করণীয় নিয়ে আজ উচ্চপর্যায়ে একটি বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডাব্লিউটিএ) বড়াল নামের জাহাজে চড়ে পদ্মা সেতু এলাকা ও মাদারীপুরে মাঝিকান্দির ঘাট পরিদর্শনে আসেন প্রতিমন্ত্রী। তখন ওই সভার কথা জানান তিনি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কোনো জায়গায় ধাক্কা লাগলে বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে আঘাত লাগে। যদিও এ ধরনের ধাক্কায় সেতুর কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তারপরও বারবার আঘাতে মানুষের হৃদয়ে ক্ষত সৃষ্টি হচ্ছে। এতে আমরা খুবই বিব্রত বোধ করছি।’
তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে আঘাতের ঘটনা যেন বারবার না ঘটে, সে বিষয়ে করণীয় নিয়ে আজ আমাদের উচ্চপর্যায়ে একটি সভা হবে।’
এর আজ সকাল ৮টার দিকে কাকলী নামের কে-টাইপ নামের একটি ফেরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর ১০ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খায়। এর আগে গত গত ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় বাংলাবাজার থেকে ছেড়ে আসা ফেরি ‘বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর’ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুটির ১০ নম্বর পিলারে আছড়ে পড়ে। এতে পিলার ও ফেরিটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন ফেরিতে থাকা গমভর্তি একটি ট্রাক উল্টে দুটি প্রাইভেট কারের ওপর পড়ে। এ দুর্ঘটনায় আহত হন বেশ কয়েকজন যাত্রী। তার আগে গত ২৩ জুলাই পদ্মা সেতুর ১৭ নম্বর পিলারের সঙ্গে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথের রো রো ফেরি শাহজালালের ধাক্কা লাগে। ২০ জুলাই রো রো ফেরি শাহ মখদুম ১৬ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা খেয়েছিল। এরপর ২৩ জুলাইয়ের ঘটনায় বিআইডাব্লিউটিসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। এতে চালক মাস্টার আব্দুল রহমানসহ দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ