১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ১৭:৩৫

ইভ্যালির চেয়ারম্যান-সিইওর বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন ২১ অক্টোবর

অনলাইন ডেস্ক

ইভ্যালির চেয়ারম্যান-সিইওর বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবেদন ২১ অক্টোবর

ইভ্যালির সিইও মোহাম্মদ রাসেল ও চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন। ফাইল ছবি

অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন ও সিইও মোহাম্মদ রাসেলের বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এই দিন ধার্য করেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর।

এর আগে গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে আরিফ বাকের নামে এক ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। এদিকে আজ সিইও মো. রাসেল ও তার স্ত্রী শামীমা নাসরিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে র‍্যাব। বিকালে মোহাম্মদপুরের নিলয় কমপ্রিহেনসিভ হোল্ডিংয়ের বাসায় (হাউজ ৫/৫এ, স্যার সৈয়দ রোড) অভিযান চালিয়ে তাদের হেফাজতে নেওয়া হয়। দুপুরের দিকে বাসাটিতে অভিযান শুরু করে র‍্যাব।

রাসেল ও তার স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে কি না সে বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি র‍্যাব।  

গতকাল করা ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির চমকপ্রদ বিজ্ঞাপনে আকৃষ্ট হয়ে অভিযোগকারী আরিফ বাকের ও তার বন্ধুরা চলতি বছরের মে ও জুন মাসে কিছু পণ্য অর্ডার করেন। পণ্যের অর্ডার বাবদ বিকাশ, নগদ ও সিটি ব্যাংকের কার্ডের মাধ্যমে সম্পূর্ণ পরিশোধ করেন তারা। পণ্যগুলো সাত থেকে ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে ডেলিভারির কথা ছিল। এছাড়া নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে পণ্য সরবরাহে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠান সমপরিমাণ টাকা ফেরত দিতে অঙ্গীকারবদ্ধ ছিল। কিন্তু ওই সময়সীমার মধ্যে পণ্যগুলো ডেলিভারি না পাওয়ায় বহুবার ইভ্যালির কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধিকে ফোন করা হয়। সর্বশেষ গত ৫ সেপ্টেম্বর যোগাযোগ করে অর্ডার করা পণ্যগুলো পাওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন বাদী ও তার বন্ধুরা।

একপর্যায়ে ইভ্যালি পণ্য সরবরাহ কিংবা টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর ৯ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠানটির ধানমন্ডির অফিসে যান ভুক্তভোগীরা। এ সময় তারা ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সেখানে থাকা অফিসের কর্মীরা বাদী ও তার বন্ধুদের ওপর উত্তেজিত হয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। একপর্যায়ে অফিসের অভ্যন্তরে থাকা ইভ্যালির সিইও রাসেল উত্তেজিত হয়ে তার কক্ষ থেকে বেরিয়ে এসে বাদীসহ অন্যদের ভয়ভীতি দেখিয়ে পণ্য অথবা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান।

মামলার এজাহারে বাদী আরও বলেন, ইভ্যালির অফিসে তাকে ভয়ভীতি দেখানো ও হুমকিসহ দুর্ব্যবহার করা হয়, ফলে তিনি চরম আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে দিনযাপন করছেন। এছাড়া পণ্যগুলো বুঝে না পাওয়ায় তিনি আর্থিক ও মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর