বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জাতীয় সরকারের প্রয়োজন আছে। জাতীয় সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের পরেই গঠন করা হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় সরকারের যে আহ্বান তারেক রহমান করেছেন-সেটা কিন্তু নির্বাচনের আগে নয়। আগে একটি সুষ্ঠু জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে, তারপর জাতীয় সরকারের মাধ্যমে দেশকে বিনির্মাণ করতে হবে। গণতন্ত্রের আন্দোলনকারী দল হিসেবে জাতীয় সরকারে সবাইকেই চায় বিএনপি। কাউকেই বিতাড়িত করা হবে না।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) একাংশের ‘নিরপেক্ষ নির্বাচন ও আলোচিত জাতীয় সরকার’ শীর্ষক গোলটেবিল সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আব্দুল করিম আব্বাসীর সভাপতিত্বে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, এলডিপি একাংশের মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জাতীয় সরকারের দাবি জোরদার হলে প্রধানমন্ত্রীও এ দাবি মানবেন বলে আশা প্রকাশ করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা দিবসে এক আলোচনা সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান একটি বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি জাতিকে একটি আহ্বান করেছেন। নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন, তারপর জাতি ও দেশ বিনির্মাণে একটি জাতীয় সরকার গঠন করার কথা বলেছেন।
স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, জাতীয় সরকারের কথা সবাই গুরুত্ব দিয়ে ভাবছেন। বর্তমান সরকার জনগণ ও ভোটারদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংসের শেষ প্রান্তে নিয়ে গেছে। সরকার জনগণের মাথাপিছু গড় আয় বৃদ্ধির কথা বলছে, কিন্তু একটি শিশু জন্মের পর কত টাকা মাথাপিছু ঋণ নিয়ে জন্মগ্রহণ করছে-সে কথা বলা হচ্ছে না।
সভায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা বলেন, ৫০ বছর আগে জাতির প্রয়োজনে ধুমকেতুর মতো আবির্ভাব হয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। পঞ্চাশ বছর পরে তার সুযোগ্য উত্তরসূরি তারেক রহমান জাতির সামনে উপস্থিত রয়েছেন- জাতীয় সরকারের ধারণা নিয়ে। তারেক রহমানের জাতীয় সরকারের ধারণা অত্যন্ত সময়োপযোগী ও যুগান্তকারী। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি আদায়ের জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন