সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে জনসংখ্যার অংশ বিবেচনায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।
‘ওয়ার্ল্ড সোশ্যাল প্রটেকশন রিপোর্ট ২০২০-২২’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) প্রতিবেদনে বিষয়টি উঠে এসেছে।
সামাজিক সুরক্ষার বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে অন্তত একটিতে কত মানুষ সেবা পাচ্ছে, তার ভিত্তিতে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার ২৮ দশমিক ৪ শতাংশ মানুষ সামাজিক সুরক্ষার আওতায় রয়েছে। প্রতিবেদনে ভারতের অবস্থান তৃতীয়। দেশটির মোট জনসংখ্যার ২৪ দশমিক ৪ শতাংশ এ সুবিধার আওতায় রয়েছে। পাকিস্তানের মাত্র ৯ দশমিক ২ শতাংশ মানুষ সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আছে। তালিকায় পাকিস্তানের অবস্থান ষষ্ঠ।
আইএলওর এ তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশটির ৩৬ শতাংশের বেশি মানুষ সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের মধ্যে মালদ্বীপের অবস্থান চতুর্থ, নেপাল পঞ্চম, ভুটান সপ্তম ও আফগানিস্তানের অবস্থান নবম।
অন্যদিকে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ৪০টি দেশের মধ্যে সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচিতে জনসংখ্যার অংশ বিবেচনায় বাংলাদেশের অবস্থান ২২তম। সম্প্রতি জেনেভায় আইএলওর সদর দফতর থেকে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়।
এই প্রতিবেদন বলা হয়, উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সত্ত্বেও সামাজিক সুক্ষায় বিশ্বের অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল এখনো বড় ব্যবধানে পিছিয়ে আছে। প্রতিবেদনে ২০২০ থেকে '২২ সালের পরিস্থিতি বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ