৬ এপ্রিল, ২০২৩ ১৯:৪২

আর্থিক-প্রশাসনিক স্বাধীনতা হারাচ্ছে পিপিপি কর্তৃপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক

আর্থিক-প্রশাসনিক স্বাধীনতা হারাচ্ছে পিপিপি কর্তৃপক্ষ

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (সংশোধন) বিল ২০২৩ সংসদে উত্থাপিত হয়েছে। বিলে আনীত সংশোধনীতে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলি সম্পাদনে স্বাধীনতা হারাচ্ছে বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব (পিপিপি) কর্তৃপক্ষ। বিলে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগে পিপিপি বোর্ড অব গভর্নরসের ক্ষমতা খর্ব করে সরকারের হাতে ন্যস্ত করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে বিলটি উত্থাপন করেন সংসদ কাজে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপাপ্ত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। পরে বিলটি অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়।

২০১৫ সালে প্রনীত বিদ্যমান আইনে সংশোধনী এনে আইনে বিদ্যমান ‘স্বাধীন’ শব্দটি বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আইনের ধারা ৪ এর উপ-ধারা (৩) এ রয়েছে, ‘আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলি সম্পাদনের ক্ষেত্রে পিপিপি কর্তৃপক্ষ নিরপেক্ষ ও স্বাধীন হবে’। বিদ্যামান আইনে পিপিপি কর্তৃপক্ষের নির্বাহী কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষমতাসহ সাংগঠনিক কাঠামো অনুমোদনের ক্ষমতা বোর্ড অব গভর্নরসের কাছে রয়েছে। সংশোধিত আইনে এসব ক্ষমতা সরকারের হাতে ন্যস্ত করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে। একইভাবে সংশোধিত বিলে বিদ্যমান পিপিপি সম্পর্কিত নীতিমালা, প্রবিধি, নির্দেশনা প্রণয়ন ও অনুমোদনের সঙ্গে সঙ্গে নতুন করে গাইডলাইন ও কার্যপ্রণালী প্রণয়ন করার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিদ্যমান পিপিপি কর্তৃপক্ষ আইনে কতিপয় মুদ্রণ প্রমাদ দূরীকরণ এবং বাংলাদেশ সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব আইন, ২০১৫-এর কতিপয়ধারা বাংলাদেশের সরকারের অন্যান্য কর্তৃপক্ষ আইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বিধায় সেসব ধারা পিরমার্জন বা বিলুপ্ত করেঅন্যান্য আইনের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এ আইনে সংশোধনী আনা হয়েছে। সে পরিপ্রেক্ষিতে পিপিপি কর্তৃপক্ষের  কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রয়োগ ও কার্যাবলি সম্পাদনের ক্ষেত্রে পিপিপি কর্তৃপক্ষ ‘স্বাধীন’ হওয়ার বিষয়টি বাদ দেওয়া; বোর্ড অব গর্ভনরসের সভার সংখ্যা পুননির্ধারণ; গাইডলাইনের পাশাপাশি কার্যাপ্রণালি প্রণয়ন অন্তর্ভুক্তকরণ; প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নিযুক্তি ও চাকরির শর্তাবলি বোর্ড অব গভর্নরসের পরিবর্তে সরকার কর্তৃক স্থিরকৃত হওয়া, চুক্তি স্বাক্ষরের পর সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠন কর্তৃক প্রকল্প কোম্পানিকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান, আইনের ব্যাখ্যা প্রদানের বিষয়টি বোর্ড অব গভর্নরসের পরিবর্তে সরকারের ওপর ন্যস্ত করা ও প্রবিধান প্রণয়নে সরকারের পুর্বানুমোদন গ্রহণের জন্য আইনটি সংশোধনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। 

বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ আহমেদ

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর