সংসদে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, বিআরটিএ'র ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্যক্রমে প্রার্থীকে পরীক্ষা কেন্দ্রে না এসে ডাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কোন সুযোগ নাই।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে আজ সরকার দলয়ী সদস্য দিদারুল আলমের লিখিত প্রশ্নর জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। এর আগে প্রশ্ন উত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়।
সেতুমন্ত্রী আরও জানান, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিআরটিএ'র উদ্যোগে ঘরে বসে ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার সুযোগ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিআরটিএ'র ড্রাইভিং লাইসেন্স কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। তবে এই সিস্টেমে প্রার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে না এসে ডাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার কোন সুযোগ নাই। প্রার্থীকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সার্ভারের সঙ্গে ফিশার ম্যাচ করতঃ বায়োমেট্রিক প্রদান করে দক্ষতা যাচাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। কোন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করলে বিআরটিএ ইনফরমেশন সিস্টেম (বিআরটিএ-আইএস) এ রেজাল্ট ইনপুট প্রদান করা সম্ভব নয়। রেজাল্ট ইনপুট প্রদান করা না হলে প্রার্থীর অনলাইনে আবেদন করার কোনো সুযোগ নাই। বিধায় পরীক্ষা এবং বায়োমেট্রিক ব্যতীত ভারি যান চালানাের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করার সুযোগ নেই।
আওয়ামী লীগের সংদস সদস্য এম. আব্দুল লতিফের অপর এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানান, দেশে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কোনো গবেষণামূলক কার্যক্রম চলমান নেই। তবে বিশ্বব্যাংকের ৩৬০ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক সহায়তা বাংলাদেশ রোড সেফটি প্রোগ্রাম নামে একটি প্রকল্প প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রকল্পটি অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন। এ প্রকল্পে দেশের জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কসমূহ সড়ক নিরাপত্তার প্রেক্ষিতে রেটিং প্রদান বিষয়ক গবেষণামূলক কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত আছে। প্রকল্পটি অনুমোদিত হলে ২০২৭ নাগাদ বাস্তবায়ন হবে।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত