বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, খালেদা জিয়াও প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। ‘সেলফি-টেলফি’ তোলার কাজে তিনি ছিলেন না। বিএনপি ওইসবের মধ্যে নেই।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর উপকণ্ঠে আমিনবাজার এলাকায় আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘সেলফি তুলে তার সমর্থকদের মনোবল ঠিক রাখার জন্য, ওই রাজনীতি বিএনপি করে না। ...তাদের রাজনীতির ভিত্তি ওই সেলফি। আর কিছু সরকারি কর্মকর্তা, কিছু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা আর কিছু লুটেরা। এদের নিয়ে টিকে থাকতে পারবেন না। সবাই টাকা পাঠায় আমেরিকা, কানাডা আর যুক্তরাজ্যে। উত্তর কোরিয়াতে কেউ টাকা পাঠায় না। এই টাকার মুখ আগামীতে আর দেখবেন না।’
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে-আওয়ামী লীগের এই কথা বিদেশিরা বিশ্বাস করলে ভিসা নীতি দেওয়া হতো না বলেও উল্লেখ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু। তিনি বলেন, দেশের মানুষও তাদের (ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ) নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তাদের দেশের বাইরে নিষেধাজ্ঞা, দেশেও নিষেধাজ্ঞা। যাওয়ার জায়গা থাকবে না।
সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সেলিমা রহমান বলেন, জনগণ যা বলে তা এই সরকারকে মানতে হবে। সরকারকে আর সময় দেবে না জনগণ। তিনি বলেন, মা-বোনেরা শান্তিতে নেই। সরকার নারীদের সম্মান করে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাকের সভাপতিত্বে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী। এতে ঢাকা বিভাগীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদসহ জেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বক্তৃতা করেন।
বিডি প্রতিদিন/আরাফাত