জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেছেন, আমরা মানুষের অগ্রাধিকারটা বোঝার চেষ্টা করছি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রশাসনের কাঠামোগত পরিবর্তনের সুপারিশ করা হবে। আমাদের কাজ ব্যাপক। সেই জন্য আমাদের একটু সময় লাগছে। তিন মাস সময়ে এটা করা খুব কঠিন। তবু আমরা চেষ্টা করব সরকারের নির্দেশনা মতো তিন মাসের মধ্যেই এটা করতে।
রবিবার দুপুরে সচিবালয়ে কমিশনের ১২তম বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, আমরা কাঠামোগত পরিবর্তনের জন্য সুপারিশ করব। যেন এ ধরনের আবহাওয়ার সৃষ্টি না হয়। তারপরও থেকে যায়, যত চেষ্টা করি না কেন আমি, কিছু লোক থাকবে, তারা চাইবে। সংবিধান সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে। এগুলো খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে, একদিনে পরিবর্তন আনা সম্ভব না। আমরা সুপারিশ দেব। আমরা বলি কাক কাকের মাংস খায় না। আমলাদের ওপর সবচেয়ে বেশি জুলুম আমলারাই করে।
তিনি বলেন, আমরা এগোচ্ছি। আমরা তিনটি গ্রুপ করে আমাদের কাজটা ভাগ করেছি। ঢাকার বাইরে সাধারণ মানুষের বক্তব্য শোনার জন্য কিছু প্রোগ্রাম হাতে নিয়েছি। অন্যরা করেনি, কারণ তাদের এটা দরকার নেই। আমরা যেহেতু জনপ্রশাসন নিয়ে কাজ করব, তাই আমরা এটা করেছি।
তিনি আরও বলেন, আমরা রাজশাহীতে গিয়েছিলাম। সেখানে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনা করেছি এবং আলাদা করে গণশুনানি করেছি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো জনসাধারণ কী চিন্তা করছেন, কী বলছেন, সেটি শোনা। আমরা নাটোরে মিটিং করেছি। আমরা একটা প্রশ্নমালা দিয়েছি। আমরা আরও দুটি প্রশ্ন তৈরি করে দিচ্ছি। এটি আমরা ১০ দিনের জন্য দিচ্ছি। সেখানে একটি প্রশ্ন থাকছে, আপনি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কখনো গিয়েছেন কিনা? গেলে আপনার অভিজ্ঞতা কী? যেন মানুষ আরও সুনির্দিষ্টভাবে বলতে পারে। আমরা একই সঙ্গে ছাত্রদের জন্য আলাদা একটি প্রশ্নমালা দিচ্ছি। এসব বিষয় নিয়ে আমাদের কাজ এগোচ্ছে।
সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, গণশুনানিতে মানুষ একটা সাধারণ প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে যে, তিনি সন্তুষ্ট কিনা? ব্যাপক সংখ্যক লোক বলেছেন ‘সন্তুষ্ট না’। তারা যে সন্তুষ্ট না, সেটি তো বোঝাই যাচ্ছে। সন্তুষ্ট নয় বলেই তো সরকার পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের অগ্রাধিকারটা আমরা বোঝার চেষ্টা করছি।
বিডি প্রতিদিন/কেএ