বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ.এফ. হাসান আরিফ বলেছেন, সরকার ট্যুরিজমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ট্যুরিজম মানে বড় বড় বিল্ডিং নির্মাণ নয়, এক জায়গার মানুষের সাথে অন্য জায়গার মানুষের মধ্যে সংযোগ স্থাপনই ট্যুরিজম।
আজ শুক্রবার কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত ও শহর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা, ডেঙ্গু প্রতিরোধ এবং ওয়ানটাইম প্লাস্টিক ব্যবহার প্রতিরোধে ৮ দিনব্যাপী জনসচেতনতামূলক ক্যাম্পেইনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কক্সবাজার ইন্সটিটিউট ও পাবলিক লাইব্রেরির শহীদ সুভাষ হলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পর্যটন উপদেষ্টা আশা প্রকাশ করেন, সরকার আগামীতে কক্সবাজারকে একটি পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে উপহার দিতে পারবে।
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহান বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে কক্সবাজারের সাংবাদিক এবং পর্যটন সংশ্লিষ্ট লোকজনের জন্য পর্যটন বিষয়ে ট্রেনিংয়ের আয়োজন করা হবে।
পর্যটন সচিব বলেন, বিভিন্ন সেক্টরের নানা সমস্যা রয়েছে। এসব সমস্যা সমাধান করতে হলে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে। পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যাওযার লক্ষ্যে আমরা বেজা ও ট্যুরিজম বোর্ডের সাথে আলোচনা করবো।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মোহাম্মদ জাবের, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ, ট্যুরিস্ট পুলিশের কক্সবাজারের পুলিশ সুপার আল আসাদ মাহফুজুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইয়ামিন হোসেন, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সভাপতি মাহবুবুর রহমান ও হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম শিকদার, ছাত্র প্রতিনিধি রবিউল হাসান, শহিদুল ওয়াহিদ শাহেদ।
অনুষ্ঠানে ২৯ নভেম্বর থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত কক্সবাজার সৈকতে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পেইনে অংশগ্রহণকারী ২০টি সংগঠনকে আয়োজনকারীদের পক্ষ থেকে সম্মাননা দেওয়া হয়।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ