ভারতে পালিয়েও শেষ রক্ষা হলো না। অনুপ্রবেশ, চাঁদাবাজি, ছিনতাইয়ের অভিযোগে গ্রেফতার হলো বাংলাদেশের ৪ যুবলীগ-আওয়ামী লীগ নেতা। তাদের গ্রেফতার করেছে ভারতীয় পুলিশ।
রবিবার কলকাতার নিউ টাউন থানা এলাকার একটি ফ্লাটে কলকাতার বিধান নগর কমিশনারেটকে সাথে নিয়ে যৌথ অভিযান চালায় মেঘলায় পুলিশ। সেখান থেকেই ৪ আওয়ামী লীগ-যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।
জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশ রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর গণরোষের ভয়ে দেশ ছেড়ে ভারতে অবস্থান নিয়েছিলেন ৬ যুবলীগ-আওয়ামী লীগ নেতা। ছয় নেতাই সিলেট থেকে পালিয়ে মেঘালয়ের শিলংয়ে অবস্থান করছিলেন। এ সময় সেখানে ছিনতাই, চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে স্থানীয় মেঘালয়ের ডাউকি পুলিশ থানায় তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (বিএনএস) অধীন ১১৮(১) মিথ্যা বিবৃতি/মিথ্যা নথি ব্যবহার), ৩০৯(৪) ও ৩১০(২) (ডাকাতি, ছিনতাই), ৩২৪(৪) (বিপজ্জনক অস্ত্র দ্বারা আঘাত করা) এবং ১৪ ফরেনার্স অ্যাক্ট মামলা দায়ের করে (কেস নম্বর ১৯(১০)/২৪)।
যদিও ৬ বাংলাদেশী নাগরিকের গ্রেফতার নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রথমে গণধর্ষণের অভিযোগ থাকলেও মেঘালয় পুলিশ জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কোনো গণধর্ষণের অভিযোগ নেই।
তাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ ওঠার পরই শিলং থেকে তারা কলকাতায় চলে আসেন। সেই মামলায় ৬ অভিযুক্তের খোঁজে কলকাতায় অভিযান চালানো হয়। ৪ জনকে কলকাতায় গ্রেফতার করা হলেও আরো দুইজন আসামি পলাতক রয়েছেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান। সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি। সিলেট মহানগর যুবলীগের সহ-সভাপতি রিপন এবং যুবলীগের সদস্য জুয়েল। পলাতক ২ জন হলেন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অফসর আজিজ, সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিটু।
রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বারাসাত জেলা দায়রা আদালতের বিশেষ ক্রিমিনাল কোর্টে তাদের তোলা হয়। কিন্তু বিচারক উপস্থিত না থাকায় ভারতীয় আইন অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিলংয়ের স্থানীয় আদালতে অপরাধীদের হাজির করা হবে এমন আশ্বাসে ট্রানজিট রিমান্ড না নিয়েই তাদের মেঘালয়ের শিলং নিয়ে যায় মেঘালয় পুলিশ। সোমবার শিলং এর স্থানীয় আদালতে গ্রেফতারকৃত চারজনকে তোলা হলে সবাইকে পুলিশ রিমান্ডে পাঠায় আদালত। গ্রেফতার ব্যক্তিদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্তে অগ্রগতি আনতে চায় মেঘালয়ের ডাউকি পুলিশ।
বিডি প্রতিদিন/জুনাইদ/কবিরুল