শুক্রবার, ১ জুলাই, ২০১৬ ০০:০০ টা
রাজধানীতে ভেজাল খাদ্যপণ্য

চার প্রতিষ্ঠানসহ পাঁচজনকে ৯ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীতে ভেজাল ও নকল পণ্য উৎপাদন এবং বিক্রির অপরাধে চার প্রতিষ্ঠানসহ পাঁচজনকে মোট ৯ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসন ও র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল জুরাইন বাজার এলাকায় ঢাকা জেলা প্রশাসন, ৫-আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও বিএসটিআইর সমন্বয়ে ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় অবৈধ ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুখাদ্য তৈরির অপরাধে চার প্রতিষ্ঠানকে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ৫ লাখ টাকার অবৈধ পণ্য জব্দ করা হয়।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদ এলাহী জানান, পুরান ঢাকার জুরাইন বাজার এলাকায় বিএসটিআইর অনুমোদন ছাড়া অবৈধ, ভেজাল ও ঝুঁকিপূর্ণ শিশুখাদ্য, গুঁড়া দুধ বা ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার, সেমাই, শ্যাম্পু, সাবান, টুথপেস্ট, সফট ড্রিংক পাউডার ইত্যাদি বিক্রির অপরাধে জনপ্রিয় স্টোর, বিক্রমপুর স্টোর, মুজাহিদ স্টোর ও আনোয়ার স্টোরকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। র‌্যাব-২ সূত্র জানায়, কেমিক্যাল মিশিয়ে কসমেটিকস্ পণ্য উৎপাদনের অপরাধে জিএসিএলের এমডি ওমর ফারুককে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, আবুল কালাম আজাদকে ২ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, মো. মোস্তাককে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড, মো. বাবুকে ১ লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং নুরুল ইসলামকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অর্ধকোটি টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার ৪ : রাজধানীর মধ্য বাড্ডা থেকে অর্ধকোটি টাকার জাল নোটসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতাররা হলেন ইয়াছিন কাজী, সোলেমান, জাকির হোসেন ও কাইয়ুম মিয়া। পুলিশ বলছে, তারা পেশাদার জাল টাকার ব্যবসায়ী। ডিবির ডিসি (পশ্চিম) সাজ্জাদুর রহমান বলেন, গত বুধবার রাতে ৫১ লাখ ১০ হাজার জাল টাকার নোটসহ প্রস্তুতকারী চক্রের ওই চার সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তারা নিজেরা জাল টাকা প্রস্তুত করে এবং অন্যান্য জাল টাকা প্রস্তুতকারীদের কাছ থেকে পাইকারিভাবে জাল টাকা সংগ্রহ করে ঢাকা শহরের বিভিন্ন জায়গায় খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সরবরাহ করে। ঈদ উপলক্ষে তাদের ঢাকা শহরসহ আশপাশের এলাকায় বিপুল পরিমাণ জাল টাকা সরবরাহ করা পরিকল্পনা ছিল।

ছড়ি ঘুরিয়ে জনতাকে নিয়ন্ত্রণের দিন শেষ: ছড়ি ঘুরিয়ে জনতাকে নিয়ন্ত্রণের দিন শেষ হয়ে গেছে। জনতাকে এখন ভালোবাসা দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। গতকাল দুপুরে রাজধানীর বনানী মডেল স্কুল মাঠে এতিম ও দুস্থদের মাঝে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, রমজানকে ঘিরে রাজধানী ঢাকাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাব্যবস্থায় সাজানো হয়েছে। এখন পর্যন্ত বড় কোনো অপরাধের ঘটনা ঘটেনি। পুলিশ আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন মার্কেটসহ রাস্তায় বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তল্লাশি চৌকি ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বনানী থানা এলাকায় সিসি ক্যামেরা লাগানোর নামে পুলিশ চাঁদাবাজি করছে বলে জানালে ডিএমপি-প্রধান বলেন, সিসি ক্যামেরা লাগানোর নামে চাঁদাবাজির কোনো সুযোগ নেই। কেউ এ ধরনের অপকর্ম করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বাসাবাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়াদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি বলেন, ঈদে গ্রামের বাড়ি যাওয়ার আগে আপনারা নিজেদের মতো বাসাবাড়ির নিরাপত্তা নিশ্চিত করে যাবেন।

বাকিটা আমাদের দায়িত্ব।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর