বৃহস্পতিবার, ৯ মার্চ, ২০১৭ ০০:০০ টা

ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা চায় বিসিআই

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেটে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে শিল্পপতিদের সংগঠন বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ—বিসিআই। পাশাপাশি সংগঠনটি শিল্প ও সেবা খাতের বার্ষিক টার্নওভার করসীমা ৮০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫ কোটি টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়েছে। গতকাল সেগুনবাগিচার রাজস্ব ভবনে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড—এনবিআর আয়োজিত প্রাক-বাজেট আলোচনায় বিসিআই সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু এ প্রস্তাব দেন। এনবিআর চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন প্রতিষ্ঠানটির শুল্কনীতি সদস্য ফরিদ উদ্দিন, মূসকনীতি সদস্য ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর হোসেন, আয়করনীতি সদস্য পারভেজ ইকবাল প্রমুখ। এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমান বলেন, কর আওতা বাড়াতে কাজ চলছে।

 এবারের বাজেটে নারীর ক্ষমতায়নে গুরুত্ব দেওয়া হবে। বাজেট হবে রাজস্ববান্ধব। তাই মনে রাখতে হবে, আসন্ন বাজেটে যেন রাজস্ব সংগ্রহে কোনো ক্ষতি না হয়। এসব দিকে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে কর্মকর্তাদের পরামর্শ দেন তিনি।

বিসিআইর প্রস্তাবে আরও বলা হয় : ২০১৭-১৮ অর্থবছরে নারী করদাতা ও ৬৫ বছরের ওপরের করদাতাদের জন্য আয়করমুক্ত সীমা ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা রাখা হোক। প্রতিবন্ধী করদাতাদের আয়করমুক্ত সীমা ৪ লাখ ২৫ হাজার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা করদাতাদের আয়করমুক্ত সীমা ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাখা হোক। পাবলিক লিস্টেড কোম্পানি করহার ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করা হোক। নন-পাবলিক লিস্টেড কোম্পানি ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বে ৩০ শতাংশ কর দেওয়ার প্রস্তাব করে বিসিআই। মার্চেন্ড ব্যাংক ক্ষেত্রে করহার ৩৭ দশমিক ৫ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হোক। নন অধ্যাদেশ ১৬বি(এ) ধারা বাতিল করার প্রস্তাব করেছে বিসিআই। মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ—এমসিসিআইর নেতারা তাদের প্রস্তাবে বলেন, ব্যক্তি আয়করের সর্বোচ্চ হার ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫ শতাংশ কমানো হোক। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সর্বোচ্চ করহার ২৫ শতাংশ করা হোক। চলতি অর্থবছরে এ হার ছিল ৩০ শতাংশ। এমসিসিআই বলেছে, আগামী অর্থবছরে নিট সম্পদ ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত সারচার্জমুক্ত রাখতে হবে।

সর্বশেষ খবর