রবিবার, ১১ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা
সংবাদ সম্মেলনে যাত্রীকল্যাণ সমিতি

নৈরাজ্য চলছে সড়ক রেল নৌ আকাশপথে

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশের সড়ক, রেল, নৌ ও আকাশপথে নৈরাজ্য চলার অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতি। সংগঠনটি বলেছে, ফিটনেসবিহীন ট্রাকে পশু, ফিটনেসবিহীন বাসে যাত্রী পরিবহনে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে। রেলপথে টিকিট কালোবাজারি, ছাদে যাত্রী ও শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে ঘরমুখী যাত্রীরা। নৌপথে চলছে লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়। ফেরিঘাটগুলোয় বসে থাকতে হচ্ছে ৮ থেকে ১২ ঘণ্টা। আর আকাশপথে ৪ থেকে ৫ গুণ বাড়তি দামে টিকিট কিনতে হচ্ছে। অব্যবস্থাপনায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হচ্ছে ঈদে ঘরমুখী মানুষকে।

গতকাল রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘হয়রানিমুক্ত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন ঈদযাত্রা নিশ্চিত করুন’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছে যাত্রীকল্যাণ সমিতি। এতে লিখিত বক্তব্য দেন সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী। আরও বক্তব্য দেন বারভিডা সভাপতি আবদুল হক, বেসরকারি সংস্থা নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক কমিউনিস্ট পার্টির নেতা শরীফুজ্জামান শরীফ, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, যাত্রীকল্যাণ সমিতির সহসভাপতি তাওহীদুল হক প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, সব পথে ভাড়া-ডাকাতি চলছে। অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ঠেকাতে কোনো কার্যক্রম নেই। যাত্রীকল্যাণ সমিতির হিসাব তুলে ধরে তিনি বলেন, এই ঈদে ঢাকা থেকে ১ কোটি ৫ লাখ মানুষ অন্য জেলায় যাতায়াত করবে। আর দেশব্যাপী এক জেলা থেকে আরেক জেলায় যাতায়াত করবে আরও ৩ কোটি ৫০ লাখ যাত্রী। এবারের ঈদযাত্রার ১২ দিনে ৪ কোটি ৫৫ লাখ যাত্রী ২৭ কোটি যাত্রাবহরের সঙ্গে থাকবে। যাত্রীকল্যাণ সমিতি বলছে, পথে পথে পশুবাহী ট্রাক থামিয়ে পুলিশ ও বিভিন্ন সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি চলছে।

বারভিডা সভাপতি আবদুল হক বলেন, কৃত্রিম যানজট তৈরি করা হচ্ছে। হাইওয়েতে পুলিশ থাকা সত্ত্বেও মহাসড়কে বাস-ট্রাক আটকে রেখে চাঁদাবাজি হচ্ছে। নাগরিক সংহতির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান বলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী সব বিষয়ে কথা বলেন, কিন্তু যাত্রী হয়রানি ও নৈরাজ্য নিয়ে কথা বলেন না।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর