বৃহস্পতিবার, ১৫ আগস্ট, ২০১৯ ০০:০০ টা

বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মাছ মার্কিন বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ

এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক

গোঁফওয়ালা ৭৬ হাজার ২৫ পাউন্ড হিমায়িত (ফ্রোজেন) মাছ (আইড়, মাগুর, বোয়াল, পাঙ্গাশ, বাতাসি, বাচা, গুলশা, টেংরা, কাজলি, পাবদা, সিং ইত্যাদি) যারা কিনেছেন তারা তা যেন ওইসব গ্রোসারি/সুপার মার্কেটে ফেরত দেন অথবা নষ্ট করে ফেলেন। কারণ, নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সের উডসাইডে অবস্থিত বাংলাদেশি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ‘প্রিমিয়াম ফুডস’র ‘শাহজালাল’ লেবেল লাগানো এসব মাছ বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে আমদানি করার পর তার খাদ্যমান যুক্তরাষ্ট্রে যথাযথভাবে পরীক্ষা করা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি মন্ত্রণালয়ের ‘খাদ্য-নিরাপত্তা পরিদর্শন সেবা দফতর’ (এফএসআইএস) ফেরত অথবা নষ্ট করার এ নির্দেশ জারি করে। সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকও তা বাজার থেকে প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করেছেন বলে মার্কিন কর্মকর্তারা জানান।

এসব মাছ বাংলাদেশ ও বার্মা থেকে যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির অনুমতি নেই। এগুলো রান্না করে খাবার পর তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর, এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে বলে ‘এফএসআইএস’ তাদের ২৭ জুলাইয়ের সার্কুলারে জানায়।

গত বছরের ২৬ মার্চ থেকে এ বছরের ৮ মার্চের মধ্যে শাহজালালের লেবেল লাগানো ওইসব মাছ নিউইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়া, নিউজার্সি, কলরাডো, কানেকটিকাট, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, ইলিনয় এবং মিশিগানের গ্রোসারি/সুপার মার্কেটে বিক্রির জন্য ওইসব স্থানেই খালাস করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তা অনেকে কিনেছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ মাছ খেয়ে কেউ অসুস্থ হয়েছেন-এমন অভিযোগ খুচরা বিক্রেতারা পাননি।

গত মে মাসের প্রথমার্ধে একই কারণে ভিয়েতনাম থেকে আমদানিকৃত গোঁফওয়ালা মাছও বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ জারি করে এফএসআইএস। লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক ‘ক্র্যাব হাউস ট্রেডিং করপোরেশন’ এসব মাছ আমদানির পর তা গ্রোসারি/সুপার মার্কেটে বিক্রির জন্য বিতরণ করেছিল। সে নির্দেশে ছিল ৩৬ হাজার ৪০ পাউন্ড মাছ। অর্থাৎ এসব মাছ পরীক্ষা এবং তার খাদ্যমান নিয়ে ঘন ঘন দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন ঘটায় আমদানিকারকরা বিপদে পড়ছেন।

সর্বশেষ খবর