বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০০:০০ টা
ট্রেড ইউনিয়ন ফোরামের তথ্য

চট্টগ্রাম শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে আট মাসে ১৬ শ্রমিকের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডে দুর্ঘটনায় চলতি বছরের আট মাসে ১৬ শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য প্রকাশ করে জাহাজভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফোরাম। সংবাদ সম্মেলনে শ্রমিকের প্রাণহানি মোকাবিলা ও কারখানাগুলোয় নিরাপদ কর্মপরিবেশ সৃষ্টিতে ১০ দফা দাবি দিয়েছে সংগঠনটি। সাত দিনের মধ্যে দাবি মেনে না নিলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এতে লিখিত বক্তব্য পড়েন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক শফর আলী। উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের আহ্বায়ক তপন দত্ত ও যুগ্ম আহ্বায়ক এ এম নাজিম উদ্দিন। ১০ দফার মধ্যে আছে- নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ১০ লাখ ও আহতদের ১৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া, ইয়ার্ড মালিকদের উদ্যোগে শ্রমিকদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা সরঞ্জাম দেওয়া, শ্রমিকদের ডাটাবেজ সংরক্ষণ, কাটার আগে জাহাজকে সম্পূর্ণভাবে বর্জ্যমুক্ত করা, শ্রমিকদের ন্যূনতম মাসিক মজুরি ১৬ হাজার ও দৈনিক ৬১৫ টাকা নিশ্চিত করা এবং এ পর্যন্ত সংঘটিত সব দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করে দায়ী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কারখানাগুলোয় নিরাপদ কর্মপরিবেশ না থাকায় প্রতিনিয়ত শ্রমিকরা দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন। গত সাড়ে তিন বছরে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ৬৬ জন শ্রমিক প্রাণ হারিয়েছেন। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিন বছরে প্রাণ হারিয়েছেন ৫০ জন। ২০১৯ সালের আট মাসে প্রাণ হারিয়েছেন ১৬ জন ও মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন ৩০ জন। চলতি বছর নিহতদের মধ্যে জাহাজ কাটার সময় আগুনে দগ্ধ ও গ্যাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যান নয়জন এবং লোহার পাত চাপা পড়ে মারা যান পাঁচজন।

যুগ্ম আহ্বায়ক শফর আলী বলেন, চট্টগ্রামের সীতাকুন্ডে বঙ্গোপসাগর উপকূলে ১৫০টির বেশি শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের নিবন্ধন আছে। কিন্তু কাজ চলছে ৫০-৬০টি ইয়ার্ডে। এসব কারখানায় সরাসরি কাজ করে প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক। পরোক্ষভাবে প্রায় ৬০ হাজার শ্রমিক এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত। শ্রম আইন অনুযায়ী কর্মস্থলে নিহত শ্রমিকের পরিবারকে ২ লাখ এবং জেলা প্রশাসকের গঠিত ক্রাইসিস কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আরও ৫ লাখ টাকা দেওয়ার কথা থাকলেও তা মানা হচ্ছে না।

সর্বশেষ খবর