মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৯ ০০:০০ টা

বরিশালে উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা পাল্টা-পাল্টি বক্তব্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল

বরিশাল নগরীর কলেজ রোড এলাকায় একটি ভবনের একাংশ উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সিটি করপোরেশনের উচ্ছেদ শাখার কর্মীরা গতকাল বিকাল ৫টার দিকে ওই ভবনের একাংশ অবৈধ দাবি করে ভেঙে ফেলতে শুরু করেন। এ সময় ভবন মালিকসহ স্থানীয় লোকজন বাধা দিলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। ভবনটির মালিক এস এম জাকির হোসেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এবং প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক। ঘটনাস্থলে উপস্থিত মেট্রোপলিটন পুলিশের উপকমিশনার (সদর) মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মেট্রোপলিটন পুলিশকে লিখিতভাবে অবহিত না করে এ উচ্ছেদ অভিযানের সমালোচনা করেন। পরে উচ্ছেদ শাখার কর্মীরা তাদের ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে চলে যান।

কিছুক্ষণ পর সিটি মেয়রের এপিএস মোস্তফা জামান মিলন এসে সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের মারধর করা হয়েছে অভিযোগ তুলে চিৎকার শুরু করেন। এ সময় তার নেতৃত্বে ফের সেখানে উচ্ছেদ শুরু হয়। যোগ দেয় মেয়র অনুসারী ছাত্রলীগের কিছু পরিচিত মুখ। তারা ফের ভারী যন্ত্রপাতি ডেকে ওই ভবনের উল্লিখিত অংশ ভাঙতে শুরু করে।

এ সময় ভবন মালিকের পরিবারের নারী সদস্যরা উচ্ছেদ অভিযান অবৈধ বলে দাবি করেন। পুলিশের উপকমিশনার মোয়াজ্জেম হোসেন ভূঁঞা আবারও ঘটনাস্থলে গিয়ে মেয়রের এপিএসকে বলেন, কোনো উচ্ছেদ অভিযান করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নোটিস করা ছাড়াও পুলিশকে লিখিতভাবে অবহিত করার বিধান আছে। সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমতিয়াজ মাহমুদ জুয়েল বলেন, ভবন মালিককে নোটিস করে তার বাড়ি পরিমাপ করা হয়েছে। তিনি নকশা বহির্ভূতভাবে ভবনের একটি অংশ নির্মাণ করেছেন। অপরদিকে সিটি করপোরেশনের কর্মীদের মারধরের অভিযোগ তুলে করপোরেশনের অর্ধশতাধিক কর্মী ওই ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। ভবন মালিক এস এম জাকির হোসেন বলেন, তিনি নকশা অনুযায়ী ভবন নির্মাণ করেছেন। ভবনের কোনো অংশ নিয়ে আপত্তি থাকলে তারা তাকে লিখিতভাবে অবহিত করতে পারত। তিনি নিজেই সেই অংশ ভেঙে দিতেন। কিন্তু সিটি করপোরেশন তাকে কোনো নোটিস না দিয়ে তার ভবন ভাঙার চেষ্টা করে। এ সময় স্থানীয় জনগণ বাধা দেয়। সিটি করপোরেশনের কোনো কর্মীকে কেউ মারধর করেনি বলে দাবি করেন জাকির হোসেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (রাত ৮টা ৯ মিনিট) ঘটনাস্থলে সিটি করপোরেশনের শতাধিক কর্মী, স্থানীয় জনগণ, র‌্যাব ও পুলিশ মোতায়েন ছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর