সোমবার, ২৩ মার্চ, ২০২০ ০০:০০ টা

বিকাশ প্রতারক চক্রের হোতাসহ গ্রেফতার ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক

যশোর থেকে বিকাশ প্রতারক চক্রের মূল হোতাসহ চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। তারা হলেন- মূল হোতা মো. সাদমান আকিব হৃদয়, মো. সোহেল, মো. অপু মোল্লা ও মো. মনিরুল ইসলাম। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত ১২টি মোবাইল ফোন, ২১টি সিমকার্ড, টার্গেটদের মোবাইল নম্বরের রেজিস্টার, টাকা উত্তোলনের রেজিস্টার ও দুই হাজার ৫০০ টাকা টাকা জব্দ করা হয়েছে। তাদের বাড়ি মাগুরা সদরে। পিবিআই (যশোর) ইউনিটের ইনচার্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম কে এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, এক মাস বিকাশ প্রতারক চক্রের সদস্যদের তথ্য সংগ্রহ এবং তা বিশ্লেষণ করা হয়। পরে এই চক্রের চারজনকে শনাক্ত শেষে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা তিনটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কাজ করে। প্রথম গ্রুপটি কৌশলে বিভিন্ন দোকানের বিকাশের রেজিস্টারের পাতার ছবি তুলে। এরপর ছবিগুলো দ্বিতীয় গ্রুপের কাছে পাঠায়। দ্বিতীয় গ্রুপটি ডিজিটাল কৌশলে বাস্তব প্রতারণায় দক্ষ।

এরা বিকাশের মূল কার্যালয়ের অপারেটর/কর্মকর্তা সেজে বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো অর্থের প্রাপককে ফোন করে জানান, কারিগরি কারণে বিকাশের মাধ্যমে পাঠানো টাকা ক্যাশ আউট হবে না। অভ্যন্তরীণ কোড ভুল রয়েছে। ঠিক করে তারপর ক্যাশ আউট করতে হবে।

এজন্য গ্রাহকের পিন কোড ও ভ্যারিফিকেশন কোড পাঠাতে বলেন। অনেক গ্রাহক সরল বিশ্বাসে অথবা নিরুপায় হয়ে প্রতারক চক্রের চাহিদামতো তথ্য সরবরাহ করেন।

প্রতারক চক্র বিকাশ অ্যাপের ভিতরে ঢুকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত তাদের নির্ধারিত বিকাশ নম্বরে টাকা পাঠিয়ে দেয়। সর্বশেষ তৃতীয় গ্রুপ বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে টাকা উত্তোলন করে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিকাশ এজেন্টরা বুঝে আবার কখনো না বুঝে প্রতারণার কাজে সহযোগিতা করেন। প্রতারণায় জড়িতদের মধ্যে বেশির ভাগেরই বাড়ি মাগুরা, নড়াইল, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, রাজশাহী ও যশোর এলাকায়। বিকাশ প্রতারণার জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।

সর্বশেষ খবর