মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০ ০০:০০ টা

ধান বিক্রির জন্য নির্বাচিত কৃষকের তালিকা ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ মন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

ধান সংগ্রহে কৃষকের নামের লটারি করার পর চূড়ান্তভাবে নির্বাচিতদের তালিকা ইউনিয়ন পরিষদের তথ্য কেন্দ্রে এবং সরকারি খাদ্য গুদামের অফিসে দৃশ্যমানভাবে ঝুলিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। পাশাপাশি লটারি করার পর অপেক্ষমাণ কৃষকের তালিকাও তৈরি করে রাখতে বলেছেন। খাদ্যমন্ত্রী গতকাল ঢাকার মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবন থেকে খুলনা বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এসব নির্দেশনা দেন। ভিডিও কনফারেন্সটি সঞ্চালনা করেন খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। ভিডিও কনফারেন্সে খাদ্যমন্ত্রী খুলনা বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার করোনা পরিস্থিতি, চলতি বোরো ধান কাটা-মাড়াই, সরকারিভাবে ধান-চাল সংগ্রহসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা হালনাগাদ করারও নির্দেশ দেন তিনি।

কনফারেন্সে কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়নভিত্তিক কতজনকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির তালিকা  থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং প্রকৃত গরিব, দুস্থদের কতজনকে নতুন তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সে তথ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। পাশাপাশি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পূর্ণ তালিকা হালনাগাদ করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেন খাদ্যমন্ত্রী।

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, কৃষকের স্বার্থের কথা চিন্তা করে; তাদের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে ধান-চাল কেনার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী এবারের বোরো মৌসুমে ৮ লাখ  মেট্রিক টন ধান সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে কেনা হবে। যা করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, লটারির মাধ্যমে প্রকৃত কৃষকদের কাছ থেকে কৃষক নির্বাচন করা হবে। যদি কোনো কৃষক তার স্লিপ মধ্যস্বত্বভোগীর কাছে বিক্রি করেন, তাহলে সেই কার্ড বাতিল করা হবে। পাশাপাশি সেসব মধ্যস্বত্বভোগীদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। কোনো কৃষক যেন খাদ্য গুদামে ধান দিতে এসে ফেরত না যায় এবং কোনোভাবেই যেন কৃষক হয়রানি না হয় সেজন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সতর্ক করেন তিনি।

খাদ্য সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, কোনোভাবেই পুরনো চাল নেওয়া যাবে না; চাল সংগ্রহের ক্ষেত্রে নিশ্চিত করতে হবে যে সংগ্রহকৃত চাল এবারের বোরো ধানের; পাশাপাশি বস্তার গায়ে স্টেনসিল ব্যবহার করার নির্দেশ দেন।

কনফারেন্সে খুলনা বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার, খুলনা আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক, কুষ্টিয়া, বাগেরহাট, চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মাগুরা, ঝিনাইদহ, মেহেরপুর ও সাতক্ষীরা জেলার জেলা প্রশাসক, খুলনা বিভাগের আওতাধীন প্রতিটি জেলার জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকরা বক্তব্য রাখেন।

সর্বশেষ খবর