রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোড এলাকায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করা হয়। তার কাছ থেকে ৩৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে খিলক্ষেতের ৩০০ ফিট এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে মোবাইল ব্যাংকিং নগদ এর ডিলার জোবায়ের আহমেদ খান নামে ওই ব্যবসায়ী গত ১ জুলাই মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলার তদন্তে ৩৩১টি ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দুজনকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ১৩ জুন বরিশাল থেকে ডিবি পরিচয়ে প্রতারক চক্রের অন্যতম সদস্য জুয়েল রানাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকার আজিমপুর থেকে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকার উদ্ধার করা হয়। ওই প্রাইভেটকার থেকে ডিবি মুন্সীগঞ্জ লেখা তিনটি জ্যাকেট, একটি ওয়্যারলেসসেট, একটি হ্যান্ডকাফ উদ্ধার করা হয়। জুয়েলের তথ্য মতে ১৪ জুলাই কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইসমাইল ওরফে পল্টুকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে ৬৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিসি হারুন আরও জানান, জুয়েলের বিরুদ্ধে হত্যা, ডিবি পরিচয়ে ছিনতাইসহ চারটি মামলা রয়েছে। লকডাউন শুরুর পর থেকে সে ডিবি পরিচয়ে ছয়টি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পল্টুর বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডিবি পরিচয়ে ছিনতাইসহ পাঁচটি মামলা রয়েছে। গত এক মাসে ডিবি পরিচয়ে পাঁচটি ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। জুয়েল ও পল্টু দুজনই পেশাদার অপরাধী। তারা বিভিন্ন অপরাধে জড়িত থাকার অপরাধে একাধিকবার গ্রেফতার হয়েছে।
এই চক্রটি ২০১৪ সাল থেকে মতিঝিলসহ ঢাকার বিভিন্ন ব্যাংকের আশপাশে অবস্থান করে। পরে ব্যাংক থেকে বড় অঙ্কের টাকা উত্তোলনকারীদের অনুসরণ করে। সুবিধাজনক জায়গায় গাড়ি নিয়ে ব্যারিকেড দিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের কাছ থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়। সংঘবদ্ধ এই চক্রটি গত এক মাসে ঢাকায় ১২টি ছিনতাই করেছে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে।