নাটোরের গুরুদাসপুরের কৃষকরা ঝুঁকছেন রবিশস্য আবাদে। এর মধ্যে বেশির ভাগ জমিতেই রসুন চাষ করা হচ্ছে। ভালো দাম পাওয়ায় এবার রেকর্ড পরিমাণ জমিতে রবিশস্যের আবাদ হচ্ছে। গুরুদাসপুরজুড়ে ইতিমধ্যে রসুন, সরিষা, খেসারি, আলু, ভুট্টাসহ বিভিন্ন রবিশস্য রোপণ শুরু হয়েছে। কয়েক দফা বন্যায় আমন চাষ ব্যাহত হওয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে রবিশস্যের আবাদ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের যোগেন্দ্রনগর গ্রামের কৃষক আবদুর রাজ্জাক, আক্কাছ আলীসহ কয়েকজন জানান, মাঠ থেকে বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গেই তারা জমিতে রবিশস্য আবাদ শুরু করছেন। রবি ফসল উৎপাদনে খরচ কম কিন্তু লাভ বেশি হওয়ায় তারা আবাদে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন। খুবজীপুর ইউনিয়নের দিয়ারপাড়া গ্রামের কৃষক মামুনুর রশিদ বলেন, বর্ষার পানি নেমে যাওয়ার পর জমি চাষ না করে নরম কাদামাটিতে সার ছিটিয়ে রসুন কোয়ার অর্ধেকটা পুঁতে দেওয়া হয়। এরপর খড়, কচুরিপানা দিয়ে পুরো জমি ঢেকে দেয়। গত বছর রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ বছর ৫ বিঘা জমিতে রসুন চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি ৩০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। গত বছরের মতো দাম ভালো পেলে সামনের বছর আরও বেশি পরিমাণ রসুন চাষ করবেন তিনি। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল করিম বলেন, কৃষকরা বীজ কিনে যেন প্রতারিত না হন সেক্ষেত্রে সার্বক্ষণিক নজরদারি করা হচ্ছে।