রবিবার, ২০ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা
ডিসিসিআইর ওয়েবিনার

এলপিজি অপারেটরদের নবায়ন ফি কমানো প্রয়োজন : জ্বালানি সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলপিজি) অপারেটরদের অনুমোদনের জন্য ১৮ ধরনের লাইসেন্স দরকার। এ জন্য তাদের বার্ষিক নবায়ন ফি দিতে হয় ১ কোটি টাকার বেশি। এটি কমানো প্রয়োজন। তিনি আরও বলেন, এলপিজি খাতে প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হয়েছে। ব্যবসাবান্ধব করতে প্রয়োজনে নীতিমালা ও আইন সংস্কার করা হবে। গতকাল ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের শিল্প খাতের জ্বালানি উৎসের ভবিষ্যৎ : এলপিজি এবং এলএনজি’ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মো. আনিছুর রহমান বলেন, এলএনজি ব্যবসায় ঝুঁকি কম থাকায় সবাই এ খাতে ঝুঁকছেন। দেশে এলপিজির বাজার প্রায় ১২ লাখ টন। ২৯টি কোম্পানি স্থানীয় বাজারে এলপিজি অপারেটর হিসেবে কাজ করছে। তবে ৫৬টি কোম্পানিকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, ছোট ছোট জাহাজে এলপিজি আমদানি করায় খরচ বাড়ছে। তবে মাতারবাড়ীতে এলপিজি টার্মিনালের কার্যক্রম চালু হলে এ খরচ প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কমে আসবে। জ্বালানি সচিব বলেন, দেশীয় শিল্প খাতে এলপিজির ব্যবহার এখনো অনেক কম। তবে এলপিজি ও এলএনজির টার্মিনাল স্থাপন এবং স্থানীয় উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে দাম কমানো সম্ভব। তিনি জানান, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১০ লাখ মেট্রিক টন এলপিজি আমদানি হয়েছিল। যার মধ্যে শতকরা ১ ভাগ ব্যবহার হয়েছে শিল্প খাতে। সিরামিক, মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, স্টিল ও চা শিল্পেই বেশি ব্যবহার করা হয়। 

ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, শিল্প খাতে চাহিদামাফিক জ¦ালানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণে প্রাকৃতিক গ্যাসের অনুসন্ধান বৃদ্ধির পাশাপাশি বিকল্প জ¦ালানি হিসেবে এলপিজি ও এলএনজি আমদানি এবং উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। শিল্প খাতে এলপিজি এবং এলএনজির চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে স্টোরেজ সুবিধা নিশ্চিতকরণের আহ্বান জানান ঢাকা চেম্বারের সভাপতি। তিনি দ্রুততার সঙ্গে এলপিজি ও এলএনজি টার্মিনাল স্থাপনে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

 পাশাপাশি এ খাতের সার্বিক উন্নয়নে সমন্বিত টেকসই কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে গুরুত্বারোপ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর