সোমবার, ২৮ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

বাতিল কয়লাভিত্তিক ১০ বিদ্যুৎ প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক

সময়মতো উৎপাদনে আসতে না পারায় কয়লাভিত্তিক ১০টি বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। গতকাল সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন যেগুলো সময়মতো উৎপাদনে আসতে পারেনি সেগুলো বাদ দেওয়ার। বাতিল করা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো হলো, পটুয়াখালী ২ী৬৬০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, উত্তরবঙ্গ ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট সুপার থারমাল পাওয়ার প্ল্যান্ট, মাওয়া ৫২২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ঢাকা ২৮২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, চট্টগ্রাম ২৮২ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প। এ ছাড়া খুলনা ৫৬৫ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মহেশখালী ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মহেশখালী ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, বাংলাদেশ-সিঙ্গাপুর ৭০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সিপিজিসিবিএল-সুমিতোমো ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প। ১০টি প্রকল্প বাদ যাওয়ায় নেট উৎপাদন ক্ষমতা ৮ হাজার ৪৫১ মেগাওয়াট হ্রাস পাবে। নসরুল হামিদ বলেন, যেসব কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয় এমন ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমোদন বাতিল হয়েছে। তবে এই প্রকল্পগুলো বাতিল হলেও বিদ্যুৎ সরবরাহে কোনো সমস্যা হবে না। আগামীতে এলাকাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার বাড়াতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য সাশ্রয়ী রাখতে হবে। কম খরচে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা অন্যতম চ্যালেঞ্জ। সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ এখনো বেশি, জমিও বেশি লাগে। যদিও নেট মিটারিং সিস্টেম কিছুটা খরচ সাশ্রয় করবে। নেপাল ও ভুটান থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করা হবে। নেপালের সঙ্গে জলবিদ্যুৎ আমদানির বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে এলএনজির ব্যবহারও বাড়তে পারে। ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর