ফেনীর চাঞ্চল্যকর একরাম হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডাদেশপ্রাপ্ত পলাতক নয় আসামির অন্যতম জিয়াউর রহমান বাপ্পীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একরামুল হক একরাম ছিলেন ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি। ২০১৪ সালে তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এ হত্যা মামলায় বাপ্পীকে (৩৮) গতকাল দুপুরে সদর উপজেলার ধোনসাদ্দায় তার শ্বশুরবাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। বাপ্পী ফেনী সদর উপজেলার মোটবি ইউনিয়নের মো. হানিফের ছেলে। তারা ফেনী শহরের বিরিঞ্চি এলাকায় ভাড়া বাসায় বাস করতেন। বাপ্পীর বাবার নাম মো. হানিফ কিন্তু চার্জশিটে লেখা আজিজ। এজন্য তাকে গ্রেফতারের পর এ নিয়ে একটু জটিলতা দেখা দিয়েছে। পরে পুলিশ বাপ্পীকে ৫৪ ধারায় চালান দিয়ে আদালতকে বিস্তারিত অবহিত করে। ফেনী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ নিজাম উদ্দিন জানান, বাপ্পীর বাবার প্রকৃত নাম ও চার্জশিটে লেখা নামের মধ্যে অমিল রয়েছে। নাম সংশোধনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
জানা যায়, বাপ্পী এ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার সময় তার বাবার নাম মো. হানিফই ছিল। পরে চার্জশিটে বাবার নাম বদল করা হয়েছে। বাপ্পী এ মামলায় আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছিলেন। তিনি জামিন পেয়ে পলাতক হন। ২০১৪ সালের ২০ মে প্রকাশ্য দিবালোকে ফেনী শহরের একাডেমি এলাকায় একরামকে গুলি করে, কুপিয়ে, গাড়িসহ পুড়িয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের দুর্বৃত্তরা। ১৩ মার্চ ২০১৮ এ মামলার রায়ে ফেনীর জেলা ও দায়রা জজ আমিনুল হক ৩৯ আসামিকে মৃত্যুদন্ড দেন। এর মধ্যে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আদেল, পৌর কাউন্সিলর আবদুল্লাহিল মাহমুদ শিবলু, ফুলগাজী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদ চৌধুরী। মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত ২২ জন কারাগারে। আটজন জামিনে মুক্ত হয়ে পলাতক। নয়জন শুরু থেকেই পলাতক। রুটি সোহেল নামে একজন জামিনে মুক্ত থাকা অবস্থায় র্যাবের ক্রসফায়ারে নিহত।
বাপ্পী ফেনী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিল কহিনুর আলমের বোনের ছেলে। জানা গেছে, এ মামলায় অনেক আসামির ভুল নাম-ঠিকানা লিখেছিলেন মামলার তদানীন্তন তদন্ত কর্মকর্তা।