বুধবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড আইন প্রণয়নের বিষয়ে ৩৬ বিশিষ্টজনের উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২১ প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের বিশিষ্ট ৩৬ নাগরিক। এ আইনের প্রস্তাব কতটা বাস্তবসম্মত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তারা। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন বিশিষ্টজনরা। বিবৃতিতে অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, সেলিনা হোসেন, রামেন্দু মজুমদার, অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, অধ্যাপক সৈয়দ মন্জুরুল ইসলামসহ অন্যদের নাম রয়েছে। বিবৃতিদাতাদের পক্ষে গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধূরী বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা লক্ষ্য করেছি বিদ্যালয়কেন্দ্রিক শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে সবার জন্য বিনামূল্যে বই প্রদানের ফলে শিক্ষার্থীদের মধ্যে গাইড বই ব্যবহারের প্রবণতা কিছুটা হলেও হ্রাস পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে পরীক্ষা ও বইয়ের বোঝা কমানোর ব্যাপারে নির্দেশনা দিয়েছেন। জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা রাখা হয়নি। এই পরীক্ষা বাতিলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকসহ নাগরিক সমাজের প্রত্যাশিত বিষয় ছিল।

কিন্তু আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, প্রধানমন্ত্রীর দিকনির্দেশনাকে আমলে না নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ‘প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২১’ নামে একটি আইনের খসড়া তৈরি করে মতামতের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। শিক্ষানীতি-২০১০ ও জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা ২০২১-এর নীতি ও অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২১ প্রণয়নের উদ্যোগ কেন নেওয়া হলো, তা আমাদের বোধগম্য নয়। এই বোর্ড গঠনের প্রস্তাব কতটুকু যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত তা প্রশ্নসাপেক্ষ।

তারা বলেন, প্রস্তাবিত প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড আইন-২০২১ কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাঁধে বইয়ের বোঝা বাড়াবে এবং কোচিং ও গাইড বইয়ের জন্য অতিরিক্ত ব্যয় বাড়াবে। মন্ত্রণালয়কে এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসার জোর দাবি জানাই।

 

সর্বশেষ খবর