১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ। ওই দিনটিকে ‘রিপাবলিক ডে’ স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রের অন্যতম রচয়িতা ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ‘বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড লিগ্যাল অ্যাফেয়ার্স’ আয়োজিত স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র উপলক্ষে আয়োজিত সেমিনারে গতকাল তিনি এ দাবি জানান। সেমিনারে ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম, ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত বীণা সিক্রি, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য ব্রিগেডিয়ার আর পি সিংসহ অন্যরা বক্তব্য রাখেন। ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেন, ‘১০ এপ্রিল যেদিন বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে পৃথিবীর বুকে আত্মপ্রকাশ করে, সে দিনটি রিপাবলিক ডে হিসেবে স্বীকৃতি পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’ ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন জানান, মুক্তিযুদ্ধের সূচনাপর্বের ঘটনাবলি লিপিবদ্ধ করা জরুরি। তিনি বাংলাদেশে ১০ এপ্রিল গণরাষ্ট্র দিবস হিসেবে পালন করার দাবি জানান। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক রাষ্ট্রদূত বীণা সিক্রি বলেন, একাত্তরের ২৫ মার্চের পর ভারতে বড় পরিবর্তন আসে। ওই সময় বাংলাদেশকে ‘ইস্ট পাকিস্তান’ নয়, বরং ‘ইস্ট বাংলা’ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছিল।২৬ থেকে ২৯ মার্চ ভারতের সংসদে যে বিতর্ক হয়, সেখানে বাংলাদেশের গণহত্যা নিয়ে এবং বাংলাদেশের সমর্থনের বিষয়ে আলোচনা হয় বলেও জানান তিনি।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্য ব্রিগেডিয়ার আর পি সিং বলেন, তিনি মুক্তিযুদ্ধের প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন সামরিক সহযোগিতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ওই সময় বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর মনোবল ভেঙে দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন বাংলোদেশে প্রবেশ করি, তখন পাকিস্তানি সৈন্যরা আমাদের কাছে অস্ত্র সমর্পণ করার জন্য আগ্রহী ছিল। কারণ তারা জানত মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করলে তাদের হয়তো মেরে ফেলা হবে। ভারতীয় সেন্যাদের কাছে আত্মসমর্পণ করলে জেনেভা কনভেনশন অনুযায়ী বন্দী করা হবে।