‘আসছে বাজেটে জ্বালানির ওপর ডিউটি কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। বাজেট-পরবর্তী সময়ে জ্বালানির দাম সমন্বয় করার চিন্তাভাবনা রয়েছে’ বলেও মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি জানান, বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের জ্বালানিতে ভিন্ন পরিমাণের ডিউটি রয়েছে। এ ডিউটি ইউনিক করার প্রস্তাব রয়েছে। গতকাল রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এফইআরবির চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীর অনুষ্ঠানটিতে সভাপতিত্ব করেন। নসরুল হামিদ বলেন, ‘কভিডের কারণে বিশ্বজুড়ে জ্বালানির সংকট চলছে। আমরাও এ সংকটের বাইরে না। সবকিছু মিলিয়ে বাংলাদেশও চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যে কয়লার দাম ৬০ ডলার ছিল তা এখন ৪০০ ডলার। তেলে দাম বেড়ে গেল ৬০ থেকে ৭০ ডলার। স্পট মার্কেটে গ্যাসের দাম বেড়ে গেল। আমরা বড় ধরনের ভর্তুকি দিয়ে এসেছি, নিম্ন আয়ের লোকজন যেন আক্রান্ত না হয়। সব মিলিয়ে একটি চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। এ চ্যালেঞ্জ শুধু আমাদের একার না, অনেক ধনী দেশও চ্যালেঞ্জে রয়েছে। তারাও লোডশেডিং করেছে। আমরা পাঁচটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র দিয়েছিলাম। তারা আসতে পারেনি। বাধ্য হয়ে বেশি খরচের তেলভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বেশি চালাতে হয়েছে।’ প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ২০৪১ সালের মধ্যে বিদ্যুৎ-জ্বালানি খাতেই ১৮০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রয়োজন। স্মার্ট গ্রিড, আধুনিক প্রযুক্তি, উন্নত সঞ্চালন ও বিতরণ এবং সাশ্রয়ী উৎপাদন ব্যবস্থায় এ বিনিয়োগ করা হবে। ভোলায় বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। ভোলার গ্যাস খুলনা পর্যন্ত নিতে হবে।
আমাদের সামনে বড় তিনটি চ্যালেঞ্জ হচ্ছে নিরবচ্ছিন্ন, মানসম্মত ও সাশ্রয়ী মূল্যে জ্বালানি নিশ্চিত করা। নেপালের বিদ্যুৎ আসবে। সাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানের কাজ চলছে। তবে এ গ্যাস পেলেও আনতে অনেক সময়ের প্রয়োজন। সে কারণে আমাদের আরও এফএসআরইউ লাগবে। পিএসসি হালনাগাদ ও আকর্ষণীয় করা হচ্ছে। ট্রান্সমিশন বেসরকারি খাতে দেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসাইন, জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন, বিইআরসির সাবেক সদস্য মকবুল-ই-ইলাহী চৌধুরী ও বিপপার প্রেসিডেন্ট ফয়সাল খান।