বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিএনপি কোনো বিভাজনের রাজনীতি করে না। বিএনপি সব ধর্মের মানুষ, বর্ণের মানুষকে নিয়ে সুখী ও সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলবে। গতকাল চট্টগ্রামের জেএমসেন হল প্রাঙ্গণে আয়োজিত চার দিনব্যাপী শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন ধর্ম সম্মেলন ও সাধু সন্ত ঋষি বৈষ্ণব মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক লায়ন আর কে দাশ রুপু। মঙ্গলপ্রদীপ প্রজ্বালন করেন বাঁশখালী ঋষিধামের মোহন্ত শ্রীমৎ স্বামী সচিদানন্দ পুরী মহারাজ।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সমাজে যখন কোনো মহামানব জন্মগ্রহণ করেন তখন তিনি সবার মঙ্গলের জন্য কাজ করেন। বিশ্বের শান্তির জন্য তিনি আভির্ভূত হন। তখন তাঁর মঙ্গলজনক কাজ মানবজাতির সবার জন্য আশীর্বাদপুষ্ট হয়। ঠিক একইভাবে শ্রীকৃষ্ণ অন্যায়-অবিচার থেকে মানবসমাজকে মুক্তি দিতে দ্বাপরযুগে জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি কংসসহ অনেক অসুরকে বধ করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে এখন হানাহানি, যুদ্ধ চলছে। মানুষ মরছে, এই সময় সবার সহনশীলতা প্রয়োজন। কিন্তু যারা মানুষ মারছে, হানাহানি করছে তারা কোনো সময় ধর্মের কথা বলে, কোনো সময় বর্ণের কথা বলে আবার কোনো সময় সংস্কৃতির কথা বলে। বিএনপির এই প্রবীণ নেতা আরও বলেন, বাংলাদেশের সংবিধান মানলে অবশ্যই অসাম্প্রদায়িক হতে হবে। বাংলাদেশের সংবিধানে অসাম্প্রদায়িক চেতনার কথা পুরোপুরি বলা আছে। সুতরাং অসাম্প্রদায়িক মুখে নয়, প্রকৃত অসাম্প্রদায়িক হলে দেশে কোনো হানাহানি থাকবে না।
একইভাবে সংখ্যালঘু শব্দও আমি মানি না। সংখ্যালঘু বলতে কোনো শব্দ নেই। আমরা সবাই বাংলাদেশি এবং বাংলাদেশি হিসেবে সবার অধিকার নিশ্চিত করা যেকোনো সরকারের দায়িত্ব।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জন্মাষ্টমী উদ্যাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যকরী সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দে পার্থ। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, পাচুরিয়া তপোবন আশ্রমের অধ্যক্ষ রবীশ্বরানন্দ পুরী মহারাজ, ভোলানন্দ গিরি মন্দিরের অধ্যক্ষ উমেশানন্দ গিরি মহারাজ, শ্রীমৎ সনাতনঋষি মহারাজ, বিদহানন্দ মহারাজ, রামানন্দ পুরী মহারাজ, অজপানন্দ পুরী মহারাজ, পরিতোষান্দ গিরি মহারাজ, রাজীব ধর তমাল, শ্রদ্ধানন্দ ব্রহ্মচারী, শিবানন্দগিরি মহারাজ, মহাব্রতনন্দ মহারাজ, রুদ্রাষানন্দ পুরী মহারাজ, যোগানন্দ ব্রহ্মচারী, স্বামী অরুণানন্দ মহারাজ, বাবলানন্দ মহারাজ, প্রেমময় আনন্দ ব্রহ্মচারী প্রমুখ।