মুজিব কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় ১০ বছর থেকেও জানতে পারলেন না তার পিতা, আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও রক্তের সাথে নেপথ্যে কিভাবে তার আস্থাভাজনরা বিশ্বাসঘাতকতা করলেন! বুঝতেই পারলেন না কীভাবে তার আস্থার প্রতি বেইমানি তারা করেছে!
এরা রাজনৈতিক বানিজ্যিকিকরণের সুবাদে অবৈধ অর্থবিত্তের লোভে দলের অগনিত নিবেদিতপ্রান নেতাকর্মীদের অবহেলা অবজ্ঞা বিতাড়িত করে, জাতির পিতার হত্যাকারীদের রক্তমাখা হাতে গড়া সন্ত্রাসী দল কুখ্যাত ফ্রিডম পার্টির রাস্তার লোকদের কাছে সংগঠনের পদবী বিক্রি করেছে! যুবদলের টোকাইদের পদবী দিয়েই থামেনি, টেন্ডার থেকে অবৈধ ক্যাসিনো বাণিজ্যের পুরোটা তাদের হাতে তুলে দিয়েছে।
জামায়াত ও খুনীদের পরিবারের সদস্য থেকে বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাংচুর করা নষ্টদের হাতে ক্ষমতাই দেয়া হয়নি, অর্থবিত্ত গড়ার সুযোগই দেয়া হয়নি, বিসিবির মতোন প্রতিষ্ঠানেও তাদের পরিচালক বানানো হয়েছে। মোহামেডান ক্লাব, কলাবাগান ক্লাবের কর্তৃত্ব এদের হাতে তুলে দিয়ে ক্যাসিনো বাণিজ্য চালাতে দেয়া হয়েছে!দলের পদবি ও কমিটি বাণিজ্যই করেনি, নষ্টদের দিয়েছে চাঁদাবাজি, বিভিন্ন ক্লাবে ক্যাসিনো বাণিজ্যের সুযোগ। প্রশাসনের একটি অংশ আর দলের একাংশ মিলে মিশে দিনরাত যতো অপরাধ অন্যায় সংগঠিত করেছে।
এখন অভিযানে একের পর এক যখন ধরা পড়ছে, বীভৎস কুৎসিত চেহারা চরিত্র আমলনামা বেরিয়ে আসছে তখন, সরকার ও দলের কেউ কেউ বলছেন, অনুপ্রবেশকারী বা বিএনপি জামাতিরা এসে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। এ বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়। দলের আদর্শবানরা যখন আর্তনাদ করেছে, গণমাধ্যম যখন দলে দলে জামাত বিএনপির যোগদানের খবর দিয়েছে তখন কি করেছিলেন?
খুনিদের পরিবার, জামায়াতের পরিবার, বিএনপি, ফ্রিডম পার্টি, যুবদল, জামাতকরা নষ্টদের ১০ বছর আগে দলে এনে পদবী দিলেন কেনো?প্রশাসনিক ছায়া দিলেন কেনো? ক্যাসিনো চালিয়ে অঢেল অর্থ বিত্ত সম্পদ গড়তে দিলেন কেনো? সকল টেন্ডার এদের একজনের হাতে দিলেন কেনো? কার কি ভাগবাটোয়ারা ছিলো? ওরা কাকে কত দিয়েছে যে যেখানে ফালু দেশান্তরী আর তার ডান হাত লোকমান বঙ্গবন্ধুর ছবি ভেঙ্গেও বিসিবি, মোহামেডান, ক্যাসিনোর মালিক হয়ে তার সাথীদের নিয়ে দাপুটে রাজত্ব চালিয়েছে?
আওয়ামী লীগে বোমা হামলাকারিদের কারা এনে এমপি বানায়? কারা ৩২ নম্বর বাড়িতে গুলিবর্ষণকারিকে নেতা বাজিকর বানায়? কমিশনার বানায়, পদবী দেয়? বিসিবির লোকমানের সাথী বাকি পরিচালক কারা? অনুপ্রবেশকারিদের আশ্রয় প্রশ্রয় অপরাধের দায় আওয়ামী লীগকেই নিতে হবে, বঙ্গবন্ধুসহ সহস্র কর্মীর রক্তেভেজা দলকেই এর জবাব দিতে হবে। ওদের কারা এনে পদবি দিয়ে বিষাক্ত ক্ষমতাধর বানিয়েছে?
দলের তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে কারা গত ১০ বছরে অবৈধভাবে লুটপাট, তদবির, কমিশন, দখল, নিয়োগ বাণিজ্য থেকে সকল অপকর্ম করে অঢেল অর্থ, দামি গাড়ি, বিলাসি বাড়ি, ফ্লাট, সম্পদ গড়েছেন? দলের ও প্রশাসনের কারা দেশ বিদেশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ পাচার থেকে সম্পদ করেছেন। মুজিব কন্যার অভিযানে সব অপরাধীকেই ধরতে হবে। পাপের শাস্তি তাদের পেতে হবে। সমাজে অপরাধ করে বুক ফুলিয়ে দম্ভ করে হাঁটার দিন শেষ হতে হবে। এ যুদ্ধে তাই জিততে হবে। এটা আমাদের মহান নেতার আদর্শের লড়াই।
লেখক: নির্বাহী সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা
