শিরোনাম
প্রকাশ: ০৬:৫৩, রবিবার, ০৭ জুন, ২০২০ আপডেট:

৬-দফা বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রাণবীজ

এম. নজরুল ইসলাম
অনলাইন ভার্সন
৬-দফা বাংলাদেশের অস্তিত্বের প্রাণবীজ

পাকিস্তানের জন্মলগ্ন থেকে পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক বাঙালিদের প্রতি রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বঞ্চনা এবং নিপীড়নের প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগ নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে তার রাজনৈতিক কর্মসূচি হিসেবে ৬-দফা পেশ করেন। সঙ্গে সঙ্গে তা রাজনৈতিক ও শাসকমহলসহ সারা পাকিস্তানে আলোড়ন সৃষ্টি করে। লাহোরে পাকিস্তানের সম্মিলিত বিরোধী দলের সভায় ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু ৬-দফা প্রস্তাব পেশ করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম কার্যকর পদক্ষেপ ছিল ৬-দফা। এর ফলে বাঙালির মুক্তি আন্দোলন নতুন করে গতি পায়। আসল সত্য হল, পাকিস্তানের পূর্ব ও পশ্চিম অংশকে ঐক্যবদ্ধ রাখার জন্যে ৬-দফা প্রণীত হয়নি। এক দেশে দু'টি স্বতন্ত্র মুদ্রা ব্যবহার প্রস্তাব করে শেখ মুজিব বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, অন্য কিছু নয়, বাংলাদেশের পূর্ণ স্বাধীনতাই ছিল তার মূল লক্ষ্য।

বঙ্গবন্ধু লাহোরে পৌঁছানোর আগে মুসলিম লীগ নেতা খান আবদুল কাইয়ুম খান এক জনসভায় তাকে লক্ষ্য করে বলেন, ৬-দফা দিয়ে পাকিস্তানের অস্তিত্বের সংকট সৃষ্টি করলে তিনি রক্ত-গঙ্গা বইয়ে দেবেন। কাইয়ুম খানের ওই চ্যালেঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দৃঢ়তার সঙ্গে গ্রহণ করেন এবং লাহোরে গিয়ে সফল জনসভা করেন। শেখ মুজিব ১১ ফেব্রুয়ারি (১৯৬৬) ঢাকা ফিরে আসেন। ওই দিনই তার বাসভবনে ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে তিনি বলেন, প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতাদের সম্পর্কে তিনি হতাশ। ৬-দফার আদর্শ বাস্তবায়ন করা তাদের দিয়ে সম্ভব হবে না। তাই তিনি তার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা হিসেবে প্রতিটি জেলায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য ছাত্রনেতাদের আদেশ দেন।

৬-দফা ঘোষণার পর এর সমর্থনে এবং বঙ্গবন্ধুসহ রাজবন্দিদের মুক্তির দাবিতে ৭ জুন (১৯৬৬) পূর্ব পাকিস্তানে হরতাল আহ্বান করা হয়। হরতালের সফলতার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ৬-দফার ব্যাপারে জনগণের আস্থা অর্জন করে। শ্রমিক, কৃষক, ছাত্র-জনতার সফল হরতাল আইয়ুব সরকারকে কাঁপিয়ে তোলে। এই হরতালের খবর দৈনিক ইত্তেফাকে ফলাও করে ছাপা হয়। সেই কারণে ১৬ জুন (১৯৬৬) ইত্তেফাক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে গ্রেফতার করা হয় ও ১৭ জুন (১৯৬৬) ইত্তেফাককে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। (পাকিস্তান অবজারভার, ১৮ জুন, ১৯৬৬)। 

১৯৬৭ সালের ২৯ মার্চ প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান ময়মনসিংহে এক জনসভায় বলেন, "যারা প্রাদেশিক স্বায়ত্তশাসনের জন্যে চেঁচামেচি করছে তারা পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতা কামনা করে। যদি এটা ঘটে, তাহলে বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে। (দৈনিক আজাদ, ৩১ মার্চ, ১৯৬৭)।

বাঙালির মুক্তিসনদ ঐতিহাসিক ৬-দফা:
 
১। শাসনতান্ত্রিক কাঠামো ও রাষ্ট্রীয় প্রকৃতি: দেশের শাসনতান্ত্রিক কাঠামো এমনই হতে হবে যেখানে পাকিস্তান হবে ফেডারেল ভিত্তিক রাষ্ট্রসংঘ এবং তার ভিত্তি হবে লাহোর প্রস্তাব। আইন পরিষদের ক্ষমতা হবে সার্বভৌম এবং এই পরিষদও নির্বাচিত হবে সার্বজনীন ভোটাধিকারের ভিত্তিতে জনসাধারণের সরাসরি ভোটে। 
২। কেন্দ্রীয় সরকারের ক্ষমতা: কেন্দ্রীয় (ফেডারেল) সরকারের ক্ষমতা কেবল মাত্র দুটি ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ থাকবে, যথা-দেশরক্ষা ও বৈদেশিক নীতি। অবশিষ্ট সকল বিষয়ে অঙ্গরাষ্ট্রগুলির ক্ষমতা থাকবে নিরঙ্কুশ। 
৩। মুদ্রা ও অর্থ সম্বন্ধীয় ক্ষমতা: মুদ্রার ব্যাপারে নিম্নলিখিত যে-কোনো একটি প্রস্তাব গ্রহণ করা চলতে পারে। (ক) সমগ্র দেশের জন্য দুইটি পৃথক অথচ অবাধে বিনিময় যোগ্য মুদ্রা চালু থাকবে। অথবা, (খ) বর্তমান নিয়মে সমগ্র দেশের জন্যে কেবলমাত্র একটি মুদ্রা চালু থাকতে পারে। তবে সে ক্ষেত্রে শাসনতন্ত্রে এমন ফলপ্রসূ ব্যবস্থা রাখতে হবে, যাতে করে পূর্ব পাকিস্তান থেকে পশ্চিম পাকিস্তানে মূলধন পাচারের পথ বন্ধ হয়। এ ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের জন্যে পৃথক ব্যাংকিং রিজার্ভের পত্তন করতে হবে এবং পূর্ব পাকিস্তানের জন্যে পৃথক আর্থিক ও অর্থ বিষয়ক নীতি প্রবর্তন করতে হবে।
৪। রাজস্ব, কর ও শুল্ক সম্বন্ধীয় ক্ষমতা: ফেডারেশনের অঙ্গরাষ্ট্রগুলির কর বা শুল্ক ধার্যের ব্যাপারে সার্বভৌম ক্ষমতা থাকবে। কেন্দ্রীয় সরকারের কোনোরূপ কর ধার্যের ক্ষমতা থাকবে না। তবে প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহের জন্যে অঙ্গরাষ্ট্রগুলির রাজস্বের একটি অংশ কেন্দ্রীয় সরকারের প্রাপ্য হবে। অঙ্গরাষ্ট্রগুলির সবরকম করের ক্ষমতা শতকরা একই হারে আদায়কৃত অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তহবিল গঠিত হবে। 
৫। বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক ক্ষমতা: (ক) ফেডারেলভুক্ত প্রতিটি রাষ্ট্রের বহির্বাণিজ্যের পৃথক হিসাব রক্ষা করতে হবে। (খ) বহির্বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত বৈদেশিক মুদ্রা অঙ্গরাষ্ট্রগুলির এখতিয়ারাধীন থাকবে। (গ) কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা সমান হারে অথবা সর্বসম্মত হারে অঙ্গরাষ্ট্রগুলিই মিটাবে। (ঘ) অঙ্গরাষ্ট্রগুলির মধ্যে দেশজ দ্রব্যাদির চলাচলের ক্ষেত্রে শুল্ক বা কর জাতীয় কোনো বাধানিষেধ থাকবে না। (ঙ) শাসনতন্ত্রে অঙ্গরাষ্ট্রগুলিকে বিদেশে নিজ নিজ বাণিজ্যিক প্রতিনিধি প্রেরণ এবং স্ব-স্বার্থে বাণিজ্যিক চুক্তি সম্পাদনের ক্ষমতা দিতে হবে।
৬। আঞ্চলিক বাহিনীর গঠন ক্ষমতা: আঞ্চলিক সংহতি ও শাসনতন্ত্র রক্ষার জন্যে শাসনতন্ত্রে অঙ্গরাষ্ট্রগুলিকে স্বীয় কর্তৃত্বাধীনে আধাসামরিক বা আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠন ও রাখার ক্ষমতা দিতে হবে। (শেখ মুজিবুর রহমান, আমাদের বাঁচার দাবি, ৬-দফা কর্মসূচি; প্রকাশক-আবদুল মোমেন, প্রচার সম্পাদক, পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ থেকে সার সংক্ষেপ) 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কর্তৃক ৬-দফা ঘোষণার পর গোটা পূর্ব পাকিস্তানে তা দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করছে দেখে জেনারেল আইয়ুব খান দিশাহারা হয়ে যান। উপায়ন্তর না দেখে নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করেন। তারই পটভূমি হিসেবে ১৯৬৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর খুলনায় এক জনসভায় আইয়ুব খান ঘোষণা করেন, আওয়ামী লীগ ও ন্যাপ বিচ্ছিন্নতাবাদী। (দৈনিক পাকিস্তান, ১ জানুয়ারি, ১৯৬৮)।

তারপর সবাইকে অবাক করে দিয়ে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার জানুয়ারির (১৯৬৮) প্রথম সপ্তাহে বলে, পূর্ব পাকিস্তানে সশস্ত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বাধীনতা ঘোষণা করার একটি চেষ্টা সরকার ব্যর্থ করে দিয়েছে। এর সাথে জড়িত বাঙালি সৈনিক, সেনা অফিসার এবং সি.এস.পি. অফিসারসহ মোট ৩৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। শেখ মুজিবকে এই পরিকল্পনার মূল নেতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

রাওয়ালপিন্ডিতে একজন সরকারি মুখপাত্র বলেন, "পূর্ব পাকিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করার একটি ষড়যন্ত্রের অভিযোগে সিভিল সার্ভিস, সেনা, নৌ, বিমান-বাহিনীর সদস্যসহ ২৮ জন রাজনৈতিক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।" 

১৯৬৮ সালের ১৭ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১টায় (অর্থাৎ ২৮ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিয়ে আবার কারাগারের গেট থেকেই আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা উপলক্ষে গ্রেফতার করে ঢাকা সেনানিবাসে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৮ জানুয়ারি (১৯৬৮) সরকারি প্রেসনোটে বলা হয়, "ষড়যন্ত্রের পরিকল্পনা ও পরিচালনার সাথে শেখ মুজিবুর রহমানের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। কাজেই অন্যান্যদের সাথে তাকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। পাকিস্তান প্রতিরক্ষা আইনে তিনি পূর্ব থেকেই জেলে ছিলেন।" (দৈনিক পাকিস্তান, ১৮ জানুয়ারি, ১৯৬৮)।

তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান আসামি হিসেবে বঙ্গবন্ধুর বিচার শুরু হয় ১৯৬৮ সালের ১৯ জুন ঢাকা সেনানিবাসে, বিচারপতি মকসুমুল হাকিমসহ কয়েকজন বিচারপতিকে নিয়ে গঠিত একটি ট্রাইবুনালে। ওই দিনই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এক দীর্ঘ চার্জশিট দাখিল করা হয়। চার্জশিটের সঙ্গে "দলিলপত্র" নামে যেসব কাগজপত্র দাখিল করা হয়েছিল, তাতে "আলো," "এস" ছদ্মনামের বেশকিছু চিঠি, "বাংলাদেশ," "বেতার বাণী," "বেঙ্গল এয়ার ফোর্স" শব্দ-বিশিষ্ট কয়েক টুকরো কাগজ, পূর্ব পাকিস্তানের ভাঁজ করা একটি মানচিত্র, নোয়াব আলী নামের একজন মোটর চালকের চরিত্র-সনদ, ঢাকা-দাউদকান্দি ফেরিঘাটের লগ্ বই, শেখ মুজিবের ব্যাংক একাউন্টের হিসাব-নিকাশ ইত্যাদি আদালতে পেশ করা হয়। (স্বাধীনতার দলিল: দ্বিতীয় খন্ডন, পৃষ্ঠা ৩০২)।

আওয়ামী লীগ ও পাকিস্তানের রাজনৈতিক ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত বিবরণ দিয়ে এবং নিজেকে "নিরপরাধী" দাবি করে বঙ্গবন্ধু আদালতে বলেন: "১৯৬৫ সালে ভারতের সাথে যুদ্ধ চলাকালে যে সকল রাজনীতিবিদ ভারতীয় আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেন আমি তাহাদের অন্যতম। .....যুদ্ধাবসানে প্রেসিডেন্ট আইয়ুবের প্রদেশ ভ্রমণকালে আমি ও অন্যান্য রাজনীতিবিদগণ আমন্ত্রিত হইয়া তাহার সহিত সাক্ষাৎ করি। সেই সময় আমি পূর্ব পাকিস্তানের আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসন প্রদান ও যুদ্ধকালে আমাদের অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে এ প্রদেশকে সামরিক প্রতিরক্ষার ব্যাপারে স্বয়ংসম্পূর্ণ করিয়া তুলিবার জন্য প্রেসিডেন্টের নিকট আবেদন জানাই। কারণ, যুদ্ধকালে পূর্ব পাকিস্তান দেশের অন্য অংশসহ বহির্বিশ্ব হইতে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হইয়া পড়িয়াছিল। ......ইহাতে প্রেসিডেন্টসহ অন্যান্য সরকারি নেতৃবৃন্দ ও সরকারি প্রশাসনযন্ত্র আমাকে 'অস্ত্রের ভাষায়', 'গৃহযুদ্ধ' ইত্যাদি হুমকি প্রদান করে এবং একযোগে এক ডজনেরও অধিক মামলা দায়ের করিয়া আমাকে হয়রানি করিতে শুরু করে। .....৬-দফার ভিত্তিতে পূর্ব পাকিস্তানের আঞ্চলিক স্বায়ত্তশাসনের দাবিসহ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, চাকরির সংখ্যা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে সমতার ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ের পথে বিঘ্ন সৃষ্টি করা ও নিষ্পেশন করাই ইহার মূল উদ্দেশ্য। .....এই তথাকথিত ষড়যন্ত্র সম্পর্কে কোনো ব্যক্তির সহিত কোনো আলোচনা আমার অথবা জনাব তাজউদ্দিনের বাসায় সংঘটিত হয় নাই। একজন প্রাক্তন মন্ত্রী হিসেবে অর্জিত অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে আমি স্বরাষ্ট্র বিভাগের উক্ত প্রচারপত্র সম্বন্ধে একথা জানাইতে চাই যে, সংশ্লিষ্ট বিভাগের সচিব কর্তৃক ব্যক্তিগতভাবে দলিলপত্র পরীক্ষিত ও অনুমোদিত হওয়া ব্যতিরেকে কোনো বিভাগ হইতে কোনোপ্রকার প্রচারপত্র প্রকাশ করা যায় না।" (মুক্তিযুদ্ধের দলিল, দ্বিতীয় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৫৯)।

এ বিচার যে প্রহসন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারার ষড়যন্ত্র এটা বাঙালিদের টের পেতে মোটেও কষ্ট হয়নি। সার্জেন্ট জহুরুল হককে হত্যা করার পর বাঙালিরা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। তাদের আশঙ্কা আরো ঘনীভূত হয় যে, স্বৈরাচারী জেনারেল আইয়ুব বঙ্গবন্ধুকে অবশ্যই হত্যা করবে। বাঙালির মুক্তির দূত শেখ মুজিবকে মুক্ত করার লক্ষ্যে জনসাধারণ রাজপথে নেমে আসে। সান্ধ্য-আইন জারি করেও আইয়ুব-শাহী ব্যর্থ হয় ক্ষুব্ধ বাঙালিদের স্তব্ধ করতে। ওই সময় জেনারেল আইয়ুবের এদেশীয় দোসর ও মন্ত্রীদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে দেয় বাঙালিরা। অবস্থা বেসামাল দেখে তা সামাল দেয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট আইয়ুব রাজনৈতিক দলগুলোর সাহায্য কামনা করেন। তখন আওয়ামী লীগসহ সকল দলের পক্ষ থেকে শর্ত দেয়া হল, "আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে হবে।" তারপরই কেবল ভেবে দেখা হবে আইয়ুবের আহ্বানে সাড়া দেয়া হবে কিনা। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য দলগুলোর এই শর্তকে পশ্চিম পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো পর্যন্ত সমর্থন করে। নিরুপায় হয়ে আইয়ুব খান তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধুকে মুক্তি দিতে বাধ্য হন।

ঐতিহাসিক ৬-দফা আন্দোলন সম্পর্কে স্মৃতিচারণ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, "আমি পরিবারের বড় মেয়ে হিসেবে বাবাকে তখন খুব ঘনিষ্ঠভাবে দেখেছি। যদিও আজ (১৯৮৫ সাল) থেকে ২০ বছর আগের কথা তবুও মনে হয় স্পষ্ট দেখছি বাবাকে। খাবার টেবিলে যদি আমরা বাবাসহ খেতে বসেছি, কিংবা দুর্লভ সব মুহূর্তে বাবাকে ঘিরে বসে গল্প শুনছি, গল্প করছি তখন হঠাৎ বাবা বলতেন, এখন চুপ; বল তো কী আমাদের প্রতিজ্ঞা? আমরা ট্রেনিংপ্রাপ্তের মত চটপট ছ' আঙ্গুল তুলে বসে থাকতাম। বাবা খুশি হতেন। হ্যাঁ, এই ছিল আমাদের প্রতিজ্ঞা। বাবা সংগ্রাম করেছেন ৬-দফার জন্য, অতএব আমরা তার সাথে একাত্ম হয়ে এই সংগ্রামে শরীক হয়েছি। স্বাধীনতা সংগ্রামের শুরুতে ১৯৬৯-এর গণ-অভ্যুত্থানের সময় বাবা যখন খাবার টেবিলে খেতে বসতেন বা কথা বলতেন, তখন ছ' আঙ্গুল তুলেই পাঁচ আঙ্গুল সরিয়ে নিয়ে তিনি বলতেন, এখন শুধু এক দফা।" ('সচিত্র সন্ধানী'-র সঙ্গে সাক্ষাৎকার, ১৯৮৫)।

৬-দফা প্রণয়ন সম্পর্কে প্রবীণ সাংবাদিক আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী লিখেছেন: "কয়েকদিন পর মানিক মিয়ার ধানমন্ডির বাসায় পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক দাবি নিয়ে মধ্যরাতে গোপন বৈঠক বসে। এই বৈঠকে শেখ মুজিবুর রহমান ও মানিক মিয়া ছাড়াও নূরুল আমিন, হামিদুল হক চৌধুরী, আতাউর রহমান খান, আবুল মনসুর আহমদ, মোহন মিয়া, নান্না মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে ৬-দফা নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্ক হয়। নূরুল আমিন, হামিদুল হক চৌধুরী, নান্না মিয়া ও মোহন মিয়া দাবিগুলির বিরুদ্ধে মত প্রকাশ করেন। অন্যরা সেই মুহূর্তে দাবিগুলি নিয়ে আন্দোলনে নামার পক্ষে মত প্রকাশ করেন।

শেখ মুজিব খসড়া-প্রস্তাব আকারে দাবিগুলি যে কাগজে লেখা হয়েছিল সেটি তুলে নিয়ে বললেন, এই দাবিগুলি হচ্ছে পূর্ব পাকিস্তানের বাঙালি জনগণের "ম্যাগনাকার্টা"। এই দাবির সঙ্গে আমরা-অন্ততঃ আমি বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারি না। যদি আপনারা কেউ রাজী না হন, তা' হলে আমাকে একাই এই দাবি পেশ করার জন্য প্রস্তুত হতে হবে এবং আর কোনো দল না চাইলেও আওয়ামী লীগকে নিয়েই আমাকে আন্দোলনে নামতে হবে।" (ধীরে বহে বুড়িগঙ্গা," প্রথম খন্ড, পৃষ্ঠা ১৪৭-১৫১)

এখনও স্বাধীনতা বিরোধী চক্র প্রশ্ন তুলে যে, ৬-দফা মূলত শেখ মুজিবের ক্ষমতা লাভের একটি অস্ত্র ছিল। সেখানে বাংলার স্বাধীনতা সংগ্রামের কোনো দিক নির্দেশনা ছিলো না। অথচ ইতিহাস বলছে, যারা ওই সময়ের অবস্থা দেখেছে তারা একবাক্যে স্বীকার করতে বাধ্য যে, পাকিস্তানিরা এই ৬-দফাকেই বিচ্ছিন্নতাবাদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ও তাদের এদেশীয় দোসররা বলেছে, ৬-দফা হচ্ছে পাকিস্তানকে ভেঙে দেয়ার ষড়যন্ত্র। তখনকার পত্রিকাগুলোতে এখনো সেই প্রমাণ রয়ে গেছে। তারপরও পাকিস্তানিদের এ দেশীয় এজেন্টরা কৌশলে বলে বেড়াচ্ছে যে, ৬-দফা বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনের ক্ষেত্রে খুব বড় ভূমিকা পালন করেনি। আসলে এই সবই ঘৃণ্য মিথ্যাচার। 

লেখক: সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অস্ট্রিয়া প্রবাসী মানবাধিকারকর্মী, লেখক ও সাংবাদিক।

বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন

এই বিভাগের আরও খবর
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
নির্বাচন পর্যন্ত সেনাবাহিনীর মাঠে থাকা প্রয়োজন
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
সিন্ডিকেট ভেঙে স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা গড়তে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
হয়রানি ও প্রতারণার বিরুদ্ধে সরকারকে শক্ত হতে হবে
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
জাতীয়তাবাদের উপহার সবাই মিলে এক জাতি
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
তারুণ্যের কাছে প্রত্যাশা
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
মামলাবাণিজ্যে ধ্বংস হচ্ছে দেশ
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক: বাংলার মুক্তি ও বাংলাদেশের পূর্বাভাস
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকি এড়াতে পারছেন না
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
জেনারেল ওয়াকার ম্যাজিকে গণমানুষের উচ্চাশা
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
আরববিশ্বের নীরবতা গাজার গণহত্যাকে উসকে দিচ্ছে
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
দ্রব্যমূল্যের পাগলা ঘোড়া
চেনা যায় সহজেই
চেনা যায় সহজেই
সর্বশেষ খবর
অনুমতি ছাড়া হজ করলে কঠোর শাস্তির ঘোষণা সৌদির
অনুমতি ছাড়া হজ করলে কঠোর শাস্তির ঘোষণা সৌদির

এই মাত্র | ইসলামী জীবন

শ্রমিকের টাকায় স্বপন-আমিনের বিলাসী জীবন
শ্রমিকের টাকায় স্বপন-আমিনের বিলাসী জীবন

১০ মিনিট আগে | জাতীয়

আইপিএল থেকে প্রথম দল হিসেবে বিদায় নিলো চেন্নাই
আইপিএল থেকে প্রথম দল হিসেবে বিদায় নিলো চেন্নাই

১২ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

ছুটির দিনে বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা
ছুটির দিনে বায়ুদূষণের শীর্ষে ঢাকা

২১ মিনিট আগে | নগর জীবন

ইউটিউবে ব্যান্ড বে অব বেঙ্গলের 'পুতুল’
ইউটিউবে ব্যান্ড বে অব বেঙ্গলের 'পুতুল’

৪৭ মিনিট আগে | শোবিজ

নয়াপল্টনে আজ সমাবেশ করবে শ্রমিক দল
নয়াপল্টনে আজ সমাবেশ করবে শ্রমিক দল

৫৩ মিনিট আগে | নগর জীবন

ইনজুরিতে ছিটকে গেলেন ম্যাক্সওয়েল, শেষ এবারের আইপিএল
ইনজুরিতে ছিটকে গেলেন ম্যাক্সওয়েল, শেষ এবারের আইপিএল

৫৬ মিনিট আগে | মাঠে ময়দানে

হ্যাট্রিক করলেন চাহাল, এক ওভারেই নিলেন ৪ উইকেট
হ্যাট্রিক করলেন চাহাল, এক ওভারেই নিলেন ৪ উইকেট

১ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

রাবি রেজিস্ট্রারের বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
রাবি রেজিস্ট্রারের বাড়ির সামনে ককটেল বিস্ফোরণ

১ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

দেশ ও মানুষের কল্যাণে যোগ্য নেতৃত্বের গুরুত্ব
দেশ ও মানুষের কল্যাণে যোগ্য নেতৃত্বের গুরুত্ব

১ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

রামপুরায় বাস থেকে ১৫৬০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার, গ্রেফতার
রামপুরায় বাস থেকে ১৫৬০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার, গ্রেফতার

১ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

ইসলামের চোখে শ্রম ও শ্রমিক
ইসলামের চোখে শ্রম ও শ্রমিক

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

ইসলামে শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার
ইসলামে শ্রমিকের মর্যাদা ও অধিকার

২ ঘণ্টা আগে | ইসলামী জীবন

যুক্তরাষ্ট্রে আটক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মহসেন জামিনে মুক্ত
যুক্তরাষ্ট্রে আটক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থী মহসেন জামিনে মুক্ত

২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

নোয়াখালীতে গুলি করে হত্যা: থানায় মামলা ও অস্ত্র উদ্ধার
নোয়াখালীতে গুলি করে হত্যা: থানায় মামলা ও অস্ত্র উদ্ধার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

তালতলীতে আরাফাত হত্যা: ঢাকা থেকে প্রধান আসামি গ্রেফতার
তালতলীতে আরাফাত হত্যা: ঢাকা থেকে প্রধান আসামি গ্রেফতার

২ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

বরিশাল নগরীতে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ
বরিশাল নগরীতে বিএনপির ৩১ দফার লিফলেট বিতরণ

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

নবীনগরে বজ্রপাতে অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু
নবীনগরে বজ্রপাতে অন্তঃসত্ত্বা নারীর মৃত্যু

৩ ঘণ্টা আগে | দেশগ্রাম

‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদকে কৃষিখাত থেকে আলাদা করে সুবিধাবঞ্চিত করা হয়েছে’
‘মৎস্য ও প্রাণিসম্পদকে কৃষিখাত থেকে আলাদা করে সুবিধাবঞ্চিত করা হয়েছে’

৩ ঘণ্টা আগে | চট্টগ্রাম প্রতিদিন

প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে নারী দল পাঠাবে চীন
প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলতে নারী দল পাঠাবে চীন

৩ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

পোপ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে পিয়েত্রো পারোলিন
পোপ হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে পিয়েত্রো পারোলিন

৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সা-ইন্টারের রোমাঞ্চকর ড্র
চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সা-ইন্টারের রোমাঞ্চকর ড্র

৬ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ মে)
একনজরে আজকের বাংলাদেশ প্রতিদিন (১ মে)

৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা
জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা

৮ ঘণ্টা আগে | ক্যাম্পাস

আমরা জানতাম ঘুরে দাঁড়াতে পারব: শান্ত
আমরা জানতাম ঘুরে দাঁড়াতে পারব: শান্ত

৮ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

দিল্লি হাটে ভয়াবহ আগুন
দিল্লি হাটে ভয়াবহ আগুন

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

এবার পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত
এবার পাকিস্তানের জন্য আকাশসীমা বন্ধ করল ভারত

৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়
পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাদের সঙ্গে পুলিশের মতবিনিময়

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

'উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের সমাজভূমি নির্মিত হলেই শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে'
'উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের সমাজভূমি নির্মিত হলেই শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা পাবে'

৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

সর্বাধিক পঠিত
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা
সৌদি আরবে ঈদুল আজহার সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল
পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের তাড়া খেয়ে পিছু হটেছে ভারতীয় রাফাল

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার
‘২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি’, অডিওটি শেখ হাসিনার

১৭ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে
মুহুর্মুহু রকেট হামলায় বিপর্যস্ত মার্কিন রণতরী, বাধ্য হলো পিছু হটতে

১৫ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
দাবানলে জ্বলছে ইসরায়েল, হন্য হয়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা

১৩ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’
‘২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে পাকিস্তানে হামলা চালাতে পারে ভারত’

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান
ভারত-পাকিস্তানের যুদ্ধাবস্থা নিয়ে জেল থেকে যে বার্তা দিলেন ইমরান খান

১৬ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

১৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার
আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেয়ার মার্কিন প্রস্তাবে ‘অস্বীকৃতি’ সিরিয়ার

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?
চীন-পাকিস্তানকে ‘মাথায় রেখেই’ কী রাফাল যুদ্ধবিমান কিনছে ভারত?

২২ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা
উচ্চতর গ্রেড পাবেন সরকারি চাকরিজীবীদের টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডপ্রাপ্তরা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’
‘যখন বুঝতে পারলাম কী হচ্ছে, তখন চিৎকার শুরু করি’

২১ ঘণ্টা আগে | শোবিজ

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান
নতুন ক্ষেপণাস্ত্র-বোট তৈরির ঘোষণা দিল ইরান

১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

২১ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম
পাকিস্তান পারমাণবিক শক্তিধর, কেউ হামলা করার সাহস করবে না : মরিয়ম

১৭ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা
আসছে ‘নাগরিক সেবা বাংলাদেশ’, এক ঠিকানায় মিলবে সব সেবা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান
তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হলেন আনসার উদ্দিন খান পাঠান

১৯ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫
১১৯তম প্রাইজ বন্ডের ড্র, প্রথম বিজয়ী নম্বর ০২৬৪২৫৫

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারীকে হুমকির অভিযোগ
প্রথম আলোর বিরুদ্ধে মামলার আবেদনকারীকে হুমকির অভিযোগ

১৬ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ
মিরাজের ঘূর্ণিতে তিনদিনেই জিতল বাংলাদেশ

১৫ ঘণ্টা আগে | মাঠে ময়দানে

বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল
বিএনপি নেতা আমানের ১৩ ও তার স্ত্রীর ৩ বছরের সাজা বাতিল

২৩ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

মে মাসে দু’টি ঘূর্ণিঝড়ের আভাস
মে মাসে দু’টি ঘূর্ণিঝড়ের আভাস

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ
শ্রমিক অসন্তোষে গাজীপুরে দুই কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ

২২ ঘণ্টা আগে | নগর জীবন

হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের জামিন, স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি রবিবার
হাইকোর্টে চিন্ময় দাসের জামিন, স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি রবিবার

১৫ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে
চিন্ময় দাসের জামিন হাইকোর্টে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে
অভিনেতা সিদ্দিক ৭ দিনের রিমান্ডে

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

রাজধানীতে ছুটির ৩ দিনে তিন জনসমাবেশ
রাজধানীতে ছুটির ৩ দিনে তিন জনসমাবেশ

২২ ঘণ্টা আগে | রাজনীতি

২০২৪-এর বন্যা স্বাভাবিক ছিল না: প্রধান উপদেষ্টা
২০২৪-এর বন্যা স্বাভাবিক ছিল না: প্রধান উপদেষ্টা

২০ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

আইন মন্ত্রণালয় দ্রুত সময়ে মতামত না দেওয়ায় ইশরাকের গেজেট প্রকাশ ইসির
আইন মন্ত্রণালয় দ্রুত সময়ে মতামত না দেওয়ায় ইশরাকের গেজেট প্রকাশ ইসির

১৮ ঘণ্টা আগে | জাতীয়

যে কোনও আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত ইসলামাবাদ
যে কোনও আগ্রাসনের জবাব দিতে প্রস্তুত ইসলামাবাদ

১৯ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

প্রিন্ট সর্বাধিক
বসুন্ধরায় প্রবেশে আরও একটি সংযোগসড়ক
বসুন্ধরায় প্রবেশে আরও একটি সংযোগসড়ক

নগর জীবন

সারজিসের সামনে দফায় দফায় মারামারি
সারজিসের সামনে দফায় দফায় মারামারি

পেছনের পৃষ্ঠা

ইশরাক দায়িত্ব নিচ্ছেন কবে
ইশরাক দায়িত্ব নিচ্ছেন কবে

পেছনের পৃষ্ঠা

পদ্মায় বিরল দৃশ্য, আতঙ্ক কৌতূহল
পদ্মায় বিরল দৃশ্য, আতঙ্ক কৌতূহল

পেছনের পৃষ্ঠা

এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই
এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই

সম্পাদকীয়

শ্রমিকস্বার্থে কিছুই হয়নি
শ্রমিকস্বার্থে কিছুই হয়নি

প্রথম পৃষ্ঠা

রেললাইনে লাশ রহস্য
রেললাইনে লাশ রহস্য

পেছনের পৃষ্ঠা

আজকের ভাগ্যচক্র
আজকের ভাগ্যচক্র

আজকের রাশি

বন্ধ চিড়িয়াখানা হবে আধুনিক পার্ক
বন্ধ চিড়িয়াখানা হবে আধুনিক পার্ক

রকমারি নগর পরিক্রমা

শ্রমিকের স্বার্থে পাশে থাকুন ব্যবসায়ীদের
শ্রমিকের স্বার্থে পাশে থাকুন ব্যবসায়ীদের

প্রথম পৃষ্ঠা

ইসলামি দলগুলো এক মঞ্চে, নারী সংস্কার কমিশন প্রত্যাখ্যান
ইসলামি দলগুলো এক মঞ্চে, নারী সংস্কার কমিশন প্রত্যাখ্যান

প্রথম পৃষ্ঠা

মহান মে দিবস আজ
মহান মে দিবস আজ

প্রথম পৃষ্ঠা

পাকিস্তানে যে কোনো সময় হামলা
পাকিস্তানে যে কোনো সময় হামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

নির্বাচনি জোটে আগ্রহী নয় এনসিপি
নির্বাচনি জোটে আগ্রহী নয় এনসিপি

প্রথম পৃষ্ঠা

সেই বক্তব্য শেখ হাসিনারই
সেই বক্তব্য শেখ হাসিনারই

পেছনের পৃষ্ঠা

জেল থেকে ইমরানের বার্তা
জেল থেকে ইমরানের বার্তা

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ বিএনপি ও জামায়াতের সমাবেশ
আজ বিএনপি ও জামায়াতের সমাবেশ

পেছনের পৃষ্ঠা

গণপরিবহনে শৃঙ্খলা কতদূর
গণপরিবহনে শৃঙ্খলা কতদূর

রকমারি নগর পরিক্রমা

এলোমেলো পার্কিংয়ে যানজট
এলোমেলো পার্কিংয়ে যানজট

রকমারি নগর পরিক্রমা

আদানির সঙ্গে চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি
আদানির সঙ্গে চুক্তিতে সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি

পেছনের পৃষ্ঠা

নায়ক-নায়িকাদের কার বিদ্যা কতদূর
নায়ক-নায়িকাদের কার বিদ্যা কতদূর

শোবিজ

যুদ্ধপ্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী
যুদ্ধপ্রস্তুতি না রাখা আত্মঘাতী

প্রথম পৃষ্ঠা

আজ থেকে বজ্রসহ বৃষ্টির শঙ্কা
আজ থেকে বজ্রসহ বৃষ্টির শঙ্কা

পেছনের পৃষ্ঠা

জনগণকে নিরাপত্তাহীন করবেন না
জনগণকে নিরাপত্তাহীন করবেন না

প্রথম পৃষ্ঠা

ঝুলছে ২২ হাজার মামলা
ঝুলছে ২২ হাজার মামলা

প্রথম পৃষ্ঠা

বাংলাদেশ মিয়ানমার একমত হলে করিডর
বাংলাদেশ মিয়ানমার একমত হলে করিডর

প্রথম পৃষ্ঠা

মাহির একাকিত্ব
মাহির একাকিত্ব

শোবিজ

কলকাতার হোটেলে আগুনে ১৪ জনের মৃত্যু
কলকাতার হোটেলে আগুনে ১৪ জনের মৃত্যু

পেছনের পৃষ্ঠা

সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরও সংকটে
সরকারের ভুল সিদ্ধান্তে অর্থনীতি আরও সংকটে

নগর জীবন

ববির ঘোষণা আসছে
ববির ঘোষণা আসছে

শোবিজ