বাড়ির মালিকের ছুরিকাঘাতে মৃত্যু হয়েছে নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কসের রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী জাকির খানের (৪৪)। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় থ্রগনেক্স এলাকায় ১০০১ লগ্যান এভিনিউতে অবস্থিত বাসার সামনেই জাকির খানকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় বলে কর্তব্যরত পুলিশ জানিয়েছে।
গুরুতর আহত অবস্থায় নিকটস্থ জ্যাকবি মেডিকেল সেন্টারে নেয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জাকির খানকে মৃত ঘোষণা করেন।
ছুরিকাঘাতকারী ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বয়স ৫১ বছর এবং ওই এপার্টমেন্টের মালিক। মিশরীয় এই মালিকের বাসায় জাকির দীর্ঘদিন যাবত ভাড়া ছিলেন। অভিযুক্ত মালিকের দাবি, বেশ কয়েকমাস যাবত জাকির ভাড়া পরিশোধ করেননি। উল্টো জাকির নাকি এপার্টমেন্টটি ক্রয় করতে চেয়েছিলেন।
জাকিরের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার পর বহু প্রবাসী হাসপাতালে জড়ো হন। তারা ঘাতকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছেন।
সিলেটে ফেঞ্চুগঞ্জের সন্তান জাকির খান ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টার রিয়েল এস্টেট কোম্পানির মালিক হিসেবে বাড়ি
ক্রয়-বিক্রয়ে সর্বসাধারণকে সহায়তা করতেন।
ব্রঙ্কস কম্যুনিটির নেতা ও মূলধারার রাজনীতিক মোহাম্মদ এন মজুমদার এ খবরের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
জাকির খান তিন সন্তানের বাবা ছিলেন। তার বড় মেয়ের বয়স ১৩ বছর। ছেলে একটির বয়স ১০ এবং অন্যটির ৭।
এলাকার কংগ্রেসম্যান এবং স্টেট সিনেটর ও সংসদ সদস্যদের সঙ্গে জাকির খানের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য পার্লামেন্টে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের পদক্ষেপ গ্রহণে সোচ্চার প্রবাসী সংগঠকদের অন্যতম ছিলেন জাকির খান।
এ বছরের মহান একুশে উদযাপনে ব্রঙ্কসের কর্মসূচিতেও জাকির খানের ভূমিকা ছিল সরব। পার্কচেষ্টার কম্যুনিটির লিডার নজরুল হক বলেন, মর্মান্তিক এ ঘটনার ফলে জাকির খানের পরিবার মুষড়ে পড়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০১৭/ফারজানা