বাংলাদেশ দূতাবাসের লেবার কাউন্সিলর আবদুল লতিফ খান বলেছেন, ২০১৭ সালে বিভিন্ন কারণে ২১৭ জন কুয়েত প্রবাসী মৃত্যুবরণ করেন। হার্ট অ্যাটাক ও জটিল রোগে মৃতের সংখ্যা বেশি হলেও কয়েকজন বিভিন্ন দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। এর মধ্যে ২১৬ জনের মরদেহ দেশে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবারের সম্মতিক্রমে একজনকে কুয়েতে দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার বাংলাদেশ প্রতিদিনকে তিনি এসব কথা জানান। পরে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে পাঠানো উল্লেখ্যযোগ্য সংখ্যক মরদেহ বিনা ভাড়ায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স বহন করছে।
সম্প্রতি বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজের পাঠানো এ সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সম্পূর্ণ বিনা ভাড়ায় ২০১৬ থেকে ২০১৭ অর্থ-বছরে ৮৬১ প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকের মরদেহ বহন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। এর মধ্যে কুয়েত থেকে ৯১ প্রবাসীর লাশ বিনা ভাড়ায় দেশে নিয়েছে বিমান।
অন্য মরদেহের মধ্যে সৌদি আরব (দাম্মাম ৯৩, জেদ্দা ৩২, রিয়াদ ৩১৬) থেকে ৪৪১ জন, মালয়েশিয়া থেকে ৬২ জন, ওমান থেকে ১৭৩ জন, আরব আমিরাত (আবুধাবী ২৭, দুবাই ৫৯) থেকে ৮৬ জন, কাতার থেকে ৮ জন প্রবাসীর লাশ বিনা ভাড়ায় দেশে নিয়েছে বিমান।
গত কয়েক বছর থেকে উল্লেখ্য হারে হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঝুঁকি বেড়েছে কুয়েতে বলেও জানানো হয়।
বিডি প্রতিদিন/১৯ জানুয়ারি ২০১৮/আরাফাত