ডেনমার্কে নিযুক্ত বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত এম মুহিদ এবং হেড অফ চ্যান্সারি ও প্রথম সচিব শাকিল শাহরিয়ারের সাথে সম্প্রতি সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সভাপতি ইকবাল হোসেন মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক ড. বিদ্যুৎ বড়ুয়ার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
বৈঠকে প্রবাসীদের দীর্ঘদিনের দাবি মেশিন রিডেবল পাসেপোর্ট (এমআরপি) ইস্যুর বিষয়ে কার্যকর আলাপ হয়। আশা করা হচ্ছে- জুন থেকে এমআরপি পাসপোর্ট ডেনমার্ক বাংলাদেশ দূতাবাস ইস্যু করবে।
প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন ডেনমার্ক আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোতালেব ভূঁইয়া ও হিল্লোল বড়ুয়া।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে ডেনমার্কে বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের গৃহীত পদক্ষেপে প্রবাসী নাগরিকদের সুবিধার জন্য দূতাবাস কার্যালয় স্থাপিত হয়।
কার্যালয় স্থাপিত হওয়ার পর থেকে জন্ম নিবন্ধন, এভিডেভিট, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, ট্রাভেল ডকুমেন্টস, বাংলাদেশের ভিসা কার্যক্রম চালু হলেও এখন পর্যন্ত এমআরপি পাসপোর্ট ইস্যু করা সম্ভব হয়নি।
সুইডেনের বাংলাদেশ দূতাবাসে গিয়ে এমআরপি পাসপোর্ট করতে হয়। এজন্য অনেক অর্থ ও সময় নষ্ঠ হয়। এক বছরের শিশু যাদের ফিঙ্গার ফ্রিন্ট লাগে না তাদের পাসপোর্টের অফিসিয়াল কাজ এই দূতাবাসে সম্পন্ন করে ডাকযোগে সুইডেন বাংলাদেশ দূতাবাসে পাঠালে হয়। শিশুদের সুইডেন না গিয়ে পাসপোর্ট করা যায়।
বর্তমানে ডেনমার্কে বাংলাদেশ দূতাবাস কার্যালয়ে এমআরপি'র প্রায় সকল কারিগরি নেটওয়ার্ক সম্পন্ন হলেও মেশিনের অভাবে কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না।
দূতাবাস কর্তৃপক্ষের আন্তরিকতার কোনো অভাব না থাকলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় দেরি হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে- আগামী জুন মাস থেকে এমআরপি ইস্যু শুরু হবে।
বিডি প্রতিদিন/২৭ জানুয়ারি ২০১৮/আরাফাত