এটর্নি মঈন চৌধুরীর সহযোগিতায় দুই মিলিয়ন ডলার (১৬ কোটি টাকা) পেলেন নিউইয়র্কে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত এক বাংলাদেশী।
মামলার বিবরণে জানা যায়, বৃহত্তর কুমিল্লার সন্তান এবং নিউইয়র্কে বসবাসরত এই প্রবাসী ২০১৪ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি নিউইয়র্ক সিটির পার্ক এ্যান্ড রিক্রিয়েশনের গাড়ির সাথে তার চালানো উবারের সংঘর্ষ হয়। তিনি মারাত্মকভাবে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন এবং বিশেষজ্ঞ-চিকিৎসকের তত্ত্বাবধায়নে তার চিকিৎসা চলে। দুর্ঘটনার পরই প্রচলিত রীতি অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ আদায়ের জন্যে নিউইয়র্ক সিটির বিরুদ্ধে কুইন্স সুপ্রিম কোর্টে মামলা করা হয়।
দীর্ঘ ১৫ বছরের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন যুক্তরাষ্ট্র সুপ্রিম কোর্টের এটর্নি মঈন চৌধুরীর সহযোগী ল’ ফার্ম একই বছরের ১৮ জুলাই মামলাটি দায়েরের পর তা পরিচালনার দায়িত্ব নেয়। মামলা চলার মধ্যেই আহত বাংলাদেশীর শরীরে তিনবার অস্ত্রোপচার করা হয়। আদালতে শুনানীর সময় নিউইয়র্ক সিটি নিযুক্ত এটর্নিরা তাদের ড্রাইভারের গ্রিন লাইট ছিল বলে দায় অস্বীকার করতে থাকেন।
এটর্নি মঈন চৌধুরীর সহযোগীরা সর্বক্ষেত্রে তাদের মক্কেলের কথা বিশ্বাস করে তার পক্ষে ট্রায়ালে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। গত বছরের আগষ্টে লাগাতার শুনানীর এক পর্যায়ে নিউইয়র্ক সিটির ল’ ফার্ম দুই মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণের প্রস্তাব দিয়ে মামলার নিষ্পত্তির অনুরোধ করে। এরপরই এটর্নি চৌধুরীর সহযোগী এটর্নি এবং আহত বাংলাদেশী সন্তুষ্ট হয়ে মামলাটি নিষ্পত্তি করেন।
২৬ জানুয়ারি শুক্রবার অপরাহ্নে এটর্নি মঈন চৌধুরী এ সংবাদদাতাকে জানান, ‘আমাদের মক্কেল গত সপ্তাহে ক্ষতিপূরণের চেক পেয়েছেন।’ ‘প্রবাসী বাংলাদেশীদের অনেকেই গাড়ি দুর্ঘটনা কিংবা কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় আহত হয়ে যথাযথ আইনী পরামর্শ পেলে অবশ্যই মোটা অংকের ক্ষতিপূরণ আদায়ে সক্ষম হন। গত দেড় দশকে এমন অনেক বাংলাদেশী আমাদের ল’ ফার্মের সহায়তা নিয়ে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ আদায়ে সক্ষম হন।’
বিডি প্রতিদিন/২৭ জানুয়ারি ২০১৮/হিমেল