মার্কিন কংগ্রেসে বাংলাদেশ ককাসের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং ডেমক্র্যাটিক ককাসের চেয়ারম্যান কংগ্রেসম্যান যোসেফ ক্রাউলি দশম টার্মের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন। এ নির্বাচন হবে আসছে নভেম্বরে। ১৯৯৮ সাল থেকেই নিউইয়র্কের চতুর্দশতম কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট থেকে ডেমক্র্যাটিক পার্টির মনোনয়নে জয়ী হয়ে আসছেন ক্রাউলি।
গতকাল রবিবার দুপুরে নিউইয়র্ক সিটির কুইন্সে নির্বাচনী অফিস উদ্বোধনকালে কংগ্রেসম্যান ক্রাউলি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে যুক্তরাষ্ট্র নিরাপদ নয়। বিচার বিভাগ এবং জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা সম্পর্কে উদ্ভট মন্তব্য প্রকাশের পর জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে এমন গোপন তথ্যও তিনি প্রকাশ করছেন। একই সঙ্গে এই ব্যক্তি অধিষ্ঠিত থাকলে হোয়াইট হাউজের মান-মর্যাদা অটুট রাখা সম্ভব হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারের সময় এফবিআই তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে ট্রাম্পের এক উপদেষ্টার বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি চালিয়ে পক্ষপাতদুষ্ট কাজ করেছিল বলে অভিযোগ রিপাবলিকানদের। তার প্রমাণস্বরূপ জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে একটি মেমো প্রকাশে অনুমোদন দেয় হোয়াইট হাউস। সেটি প্রকাশে কোন আপত্তি না করলেও সেই মেমো’র ত্রুটিগুলোর ব্যাপারে ডেমক্র্যাটদের মেমো প্রকাশে অবশ্য বাধা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। অর্থাৎ নিজের স্বার্থের বাইরে ট্রাম্প কিছুই করতে আগ্রহী নন বলে ডেমক্র্যাটরা মন্তব্য করছেন।
‘এ ধরনের অবস্থার অবসানের জন্যেই নভেম্বরের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমক্র্যাটদের বিপুল বিজয় দিতে হবে। এরপর ২০২০ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের মত রিপাবলিকানদের পর্যুদস্ত করে আমেরিকার ঐতিহ্য পুনপ্রতিষ্ঠার পথ সুগম করতে হবে’-বলেন বাংলাদেশিদের অকৃত্রিম বন্ধু যোসেফ ক্রাউলি।
ক্রাউলি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, এটা সকলের জন্যই দুর্ভাগ্যের ব্যাপার যে ব্যক্তি বেশ কয়েকবার ব্যাঙ্ক্রাপসী ঘোষণা করেছেন, তার হাতেই চলে গেছে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব। এবারও যুক্তরাষ্ট্রের বাজেট ঘাটতি বেড়েছে আগের যে কোন সময়ের চেয়ে অনেক বেশী। ট্রাম্পের ইচ্ছায় সম্প্রতি ট্যাক্স-সংস্কারের যে বিল পাশ হয়েছে, তার কারণে ২ ট্রিলিয়ন ডলারের আয় থেকে বঞ্চিত হবে যুক্তরাষ্ট্র। এবারের যে বাজেট পাশ হলো সেখানেও ৩৬০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ নিতে হবে। এ ধরনের অসংখ্য হতাশাজনক ঘটনায় জর্জরিত আজকের আমেরিকা। আর সবকিছুই ঘটছে ট্রাম্পের ব্যক্তিস্বার্থে।
রিমঝিম বৃষ্টি সত্ত্বেও বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার বিপুলসংখ্যক লোকের সমাগম ঘটে। এর মধ্যে কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট ডেমক্র্যাটিক পার্টির লিডার এটর্নী মঈন চৌধুরী, এটর্নী সোমা সাঈদ, ডেমক্র্যাট ওসমান চৌধুরী, গোলাম ফারুক শাহীনও ছিলেন সরব। তারা ক্রাউলিকে প্রতিশ্রুতি দেন যে, আগের মত সামনের নির্বাচনেও বাংলাদেশিরা তার পক্ষে সর্বাত্মক সমর্থন অব্যাহত রাখবে।
বিডি-প্রতিদিন/১২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮/মাহবুব