সুস্মিতা সুলতানাকে প্রবাসের মাটিতে নতুন প্রজন্মের ভাষা সৈনিক বলা যেতে পারে। তিনি একজন শিল্পি এবং সাংস্কৃতিক মনা ব্যক্তিত্ব। বেশ কয়েক বছর ধরেই থাকেন ইতালিতে। প্রবাসে সবাই যখন দৌড়াচ্ছে অর্থের পেছনে। তখন তিনি নিজের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠা করলেন সঞ্চারী সঙ্গীতায়ন নামে একটি সঙ্গীত বিদ্যালয়।
গত চার বছর ধরে কাজ করছেন ইতালিতে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মকে নিয়ে। ইতালিতে বেড়ে উঠা শিশুদের হাতে কলমে বাংলা শেখান। তিনি তাদের দেশের গান গুলো খুব শুদ্ধ করে শেখান। বাংলা ভাষা এবং ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে যেমন তুলে ধরছেন ঠিক তেমনি ইতালিয়ান সহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের বাংলা ভাষা শিক্ষা দান করেন তিনি।
কেননা অনেকেই আছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের ভাষা শিখতে আগ্রহী। সঞ্চারী সঙ্গীতায়নের চতুর্থ বছরে মহান ভাষা দিবসে ভিন্ন ধর্মী এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে।
খোদ ইতালিয়ানরাই বাংলা গান গাইলেন, নোঙর তোল তোল। এখানেই শেষ নয় গাইলেন আমার ভাইয়েয় রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি। গানটি যখন গাইছিলেন তখন অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশিদের চোখ বেয়ে অঝোরে পানি ঝড়ছিল। যে লক্ষ্য নিয়ে সুস্মিতা সুলতানা এবং কনক দম্পতি এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন অনেকটা সফলতার দারপ্রান্তে।
সুস্মিতা সুলতানা বলেন, যতক্ষণ এ দেহে থাকিবে প্রাণ গেয়ে যাব বাংলা ভাষায় গান। আমরা যেহেতু বায়ান্ন দেখিনি, সালাম, বরকত যদি ভাষার জন্য প্রাণ দিতে পারে। তাহলে সেই মাতৃভাষাকে নিজর মায়ের মত বাচিঁয়ে রাখতে পারব না কেন।
তিনি তার সাধ্যমত বাংলা ভাষাকে ইতালিয়ান এবং নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছেন। নতুন প্রজন্মের কাছে বাংলা সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়ার এক যোদ্ধা সুম্মিতা-কনক।
এই দম্পতি বলেন, আমরা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সহযোগিতায় চাই। তবে সহযোগিতা মানেই অর্থনৈতিক নয় সকল ধরনের সহযোগিতা। দেশে দেশে দূতাবাসের মাধ্যমে এমন সংগঠন গুলোকে সহযোগিতা করলে প্রবাসে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস এবং বাংলা ভাষা বেচেঁ থাকবে নতুন প্রজন্মের কাছে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন