মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী পম্পেওর আমন্ত্রণে যুক্তরাষ্ট্রে আসছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এ মোমেন। ৮ এবং ৯ এপ্রিল ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন নতুন এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনের পর গঠিত সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এটাই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সফর ড. মোমেনের।
উভয় দেশের কূটনীতিকরা সঙ্গত কারণে নাম গোপন রাখার শর্তে ২৯ মার্চ এ সংবাদদাতাকে জানান, বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সম্পর্কে নয়া দিগন্তের সূচনা ঘটবে পম্পেও-মোমেনের বৈঠকের মধ্য দিয়ে। ভৌগলিক এবং অন্যান্য কারণে বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ায় মার্কিন প্রশাসন বিদ্যমান সম্পর্ককে আরো মজবুত করতে আগ্রহী।
জানা গেছে, বৈঠকে জিএসপি পুনর্বহাল, বঙ্গবন্ধুর ঘাতক এবং একাত্তরের ঘাতক হিসেবে দন্ডিতদের দ্রুত বাংলাদেশে ফিরিয়ে নেয়া, রোহিঙ্গা ইস্যুও স্থায়ী নিস্পত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রকে জোরদার ভূমিকায় অবতীর্ণ হবার আহবান জানানো হবে।
এ সময় জাতীয়, আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে দু’দেশের সহযোগিতার ভিত প্রসারের কথাও হতে পারে বলে একাধিক সূত্রে বলা হয়েছে।
স্টেট ডিপার্টমেন্টে বৈঠকের পর ঢাকার ফেরার পথে নিউইয়র্কে যাত্রা বিরতি দেবেন ড. মোমেন। বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. মোমেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ায় ফাউন্ডেশনের যুক্তরাষ্ট্র শাখার পক্ষ থেকে নাগরিক সংবর্ধনার ব্যাপক প্রস্তুুতি চলছে। এটি ৮ এপ্রিল হবার কথা। কিন্তু স্টেট ডিপার্টমেন্টে বৈঠকের তারিখ ১০ থেকে ৮ এপ্রিলে এগিয়ে আসায় নাগরিক সংবর্ধনার তারিখেও পরিবর্তন হতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও ড. মোমেনকে নিয়ে একটি সমাবেশ করার প্রস্তুতি চলছে।
ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের উপ-প্রধান মাহবুব হাসান সালেহ এবং প্রেস সেক্রেটারি শামিম আহমেদ পৃথক পৃথকভাবে এ সংবাদদাতাকে নিশ্চিত করেছেন যে, ৮ এপ্রিল ওয়াশিংটন ডিসিতে পম্পেওর সাথে দ্বি-পাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন ড. মোমেন। এছাড়া, ৯ এপ্রিলও ট্রাম্প প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের সাথেও একাধিক বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ৩ দশকের অধিক সময় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের পর বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ড. মোমেনকে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ করেছিলেন ২০০৯ সালে। ২০১৫ সালের অক্টোবরে বঙ্গবন্ধু কন্যার আহবানেই এ দায়িত্ব ছেড়ে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে গমন করেন ড. মোমেন। জাতিসংঘে দীর্ঘ ৬ বছর দায়িত্ব পালনকালে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে অনন্য এক উচ্চচায় নিয়ে যেতে সক্ষম হন ড. মোমেন।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন