নিউইয়র্ক সিটি হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্যে ৩ জনকে সিটি কাউন্সিলের প্রক্লেমেশন এবং আরো ৪ জনকে সাইটেশন প্রদান করা হয়।
সিটি কাউন্সিল চেম্বারের এ আয়োজনে নেপথ্য সংগঠক ছিলেন কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট ডেমোক্র্যাটিক পার্টির লিডার এটর্নি মঈন চৌধুরী। সিটি কাউন্সিলম্যান ফ্রান্সিসকো পি ময়া স্বাগত বক্তব্য এবং পুরো অনুষ্ঠানের সঞ্চালনাকালে বহুজাতিক এই সিটিকে বাংলাদেশিদের অবদানের কথা গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন।
কাউন্সিলম্যান ব্যারি এস গ্রডেনচিকও শুভেচ্ছা বক্তব্যে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং বলেন, বাংলাদেশ যেভাবে স্বাধীনতা লাভ করেছে তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল একটি অধ্যায়ের সংযোজন ঘটিয়েছে। এটর্নি মঈন চৌধুরীও গভীর শ্রদ্ধায় বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অবদানের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।
প্রবাসের জনপ্রিয় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘বিপা’র শিল্পীরা জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা ঘটে। শেষে বিপার শিল্পীরা মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি জাগানিয়া সঙ্গীত পরিবেশন করেন।
সিটি কাউন্সিলের প্রক্লেমেশন প্রদান করা হয় বিশিষ্ট সমাজকর্মী ও রিয়েল্টর রব চৌধুরী, নিউইয়র্ক পুুলিশে কর্মরত বাংলাদেশি অফিসারদের সংগঠনের প্রধান সুজাত খান এবং বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনের নিউইয়র্ক চ্যাপ্টারের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডা. মাসুদ কাদিরকে। সমাজসেবায় সাইটেশন পেয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা এ এস এম মাসুদ ভূইয়া, নিউইয়র্ক পুুলিশের ক্যাপ্টেন আব্দুল্লাহ, কমিউনিটি লিডার এ এইচ এম লুৎফর রহমান লাতু এবং নূরল হাসান। বিপুল করতালির মধ্যে এসব হস্তান্তরের সময় সকলের পরিবারের সদস্যরাও ছবিতে পোজ দেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে এর আগেও এই সিটি হলে অনুষ্ঠান হলেও এবার ছিল ভিন্ন এক আমেজ। উপস্থিতিও ঘটেছিল অনেক বেশী। অনুষ্ঠানস্থলে জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছবি থাকলে তা ষোলকলায় পূর্ণ হতো বলে মন্তব্য করেছেন বঙ্গবীর এম এ জি ওসমানী স্মৃতি পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব নজমুল ইসলাম চৌধুরী।
বিডি-প্রতিদিন/সালাহ উদ্দীন