পৃথিবীর বিভিন্ন দেশগুলো হতে সর্বাধিক সংখ্যক লোকজন চলতি বছর ইমিগ্র্যান্ট হয়ে পৃথিবীর সবচেয়ে উন্নত দেশগুলোতে স্থায়ীভাবে বসবাস ও চাকরি করার সুযোগ পাবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়স, আর্থিক সামর্থ্যের মাপকাঠিতে নির্ধারণ হবে আপনার স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?
এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, আন্তর্জাতিক অভিবাসন ও কোম্পানি আইন বিশেষজ্ঞ, সাউথ এশিয়ান ল’ ইয়ার্স ফোরামের প্রেসিডেন্ট অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ।তিনি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নাগরিকদের মাইগ্রেশন সংক্রান্ত আইনগত পরামর্শ দিয়ে আসছেন। আপনি আপনার যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং কিছু পদ্ধতি ও আইন মেনে আবেদন করে পরিবারসহ পৃথিবীর অনেক দেশেই মাইগ্রেশন করার সুযোগ নিতে পারেন।
ভ্রমন করুন বিশ্বের যে কোন দেশে:
ভ্রমন নিয়ে জ্ঞানী-গুণীরা যুগে যুগে কত কথাই না বলে গেছেন। জাপানের পঞ্চদশ শতকের কবি মাৎসু বাসো সেই কবে বলে গেছেন, ভ্রমণই হচ্ছে আমার বাড়িঘর। ফরাসি ঔপন্যাসিক গুস্তাভ ফ্লামবার্টের কথায়: ‘ভ্রমণ একজনকে বিনয়ী করে।বিভিন্ন পর্যবেক্ষণে বলা হচ্ছে, আগামী বছরগুলোতে সবচেয়ে দ্রুত বিকাশ হবে এমন শিল্পের একটি হচ্ছে পর্যটন।প্রিয়জনকে নিয়ে সুন্দর সময় কাটাতে কে না চায়? সে চাওয়াকে আরো মোহময় করতে পারে সমুদ্রের নীল ঢেউ, ঘন সবুজ বন, পাহাড় বা জলপ্রপাত। সৌন্দর্য্যের ডালি সাজিয়ে প্রকৃতি আছে আপনার অপেক্ষায়।ভ্রমণ এর জন্য জনপ্রিয় দেশের তালিকায় রয়েছে কানাডা, অষ্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, ইতালী, ইত্যাদি দেশগুলো। আপনার সাধ্যর মধ্যে আপনি বেছে নিতে পারেন যে কোন দেশ। আমরা আপনার ভ্রমনকে সহজ করতে বিশেষত ভিসার বিষয়ে যে কোন ধরনের প্রয়োজনীয় আইনগত সহায়তা দিতে বদ্ধ পরিকর।
পড়াশোনা করুন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে:
অনেকে বিদেশে পড়াশোনা করতে চায় শুধু বিদেশি নাগরিকত্ব ও ভালো একটি চাকরির প্রত্যাশায়। আপনার সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেড হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ সোপান। আপনার যোগ্যতা ও পছন্দ অনুযায়ী আমরা বিশ্বের যেকোনো দেশে ওয়ার্ল্ড র্যাংকিংএ থাকা কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ব্যবস্থা করতে পারবো।
সাধারণত বাংলাদেশি ছেলেমেয়েদের কাছে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইউকে, ডেনমার্ক, নরওয়ে, সুইডেন, জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোই থাকে পছন্দের শীর্ষে। ইঞ্জিয়ারিং, মেডিকেল, বিজনেস, আইটি, আইন ইত্যাদি যেকোনো বিষয়ে পড়াশোনা করতে পারেন।
ঐতিহ্যবাহী যুক্তরাজ্যর সর্বাধিক জনপ্রিয় প্রোগ্রাম টায়ার-৫:
আনুমানিক প্রায় ৭.৫ মিলিয়ন ব্রিটিশ নাগরিক বিদেশে জন্মগ্রহন করেছেন। যা মোট জনগনের প্রায় ১৩%। ইউকে সরকার ভিসার প্রক্রিয়াটিকে পয়েন্ট সিস্টেমর মাধ্যমে পরিচালনা করে থাকেন। যারা অর্থনৈতিক ভাবে সচ্ছল ব্যবসায়ী বা খুবই দক্ষ ব্যাক্তি, তাদের জন্য রয়েছে টায়ার-১ ভিসা। টায়ার-২ মুলত সেই সব দক্ষ শ্রমিকদের ভিসা, যাদের ইংল্যান্ডে খুঁজে পাওয়া যায় না। টায়ার-৫ মূলত আমাদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষনীয় ভিসা প্রোগ্রাম। ক্রিয়েটিভ বা দক্ষ খেলোয়াড় বা যারা চ্যারিটি কাজে সম্পৃক্ত বা যারা বিভিন্ন ধর্মীয় কাজে যুক্ত বা আন্তর্জাতিক বিভিন্ন চুক্তির আওতায় যারা পড়েন বা ইউথ মোবালিটি স্কিম বা কাজের জন্য যারা ইউকেতে যেতে চায় তারাই মূলত এই ভিসার জন্য আবেদন করতে পারেন। ১২ থেকে ২৪ মাসের জন্য ভিসা দিয়ে থাকে এবং ভিসাটি নবায়ন যোগ্য। বাংলাদেশের যে কোন ব্যাংকে আবেদনকারীর শুধুমাত্র ১৮৯০ পাউন্ড বা সমপরিমান বাংলাদেশী টাকা ব্যাংকে জমা থাকতে হবে।বয়স হতে হয় ১৮ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে। ব্রিটেনের সকল নাগরিক ফ্রি মেডিকেল কেয়ারের আওতায় থাকেন। অষ্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ড থেকে ইংল্যান্ডে লিভিং কস্ট অনেক কম।
সাব-ক্লাস-৪৮২ অধীনে অষ্ট্রেলিয়ায় কাজ ও বসবাস করার সুযোগ:
অস্ট্রেলিয়ায় বৈধভাবে কাজ করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত প্রোগ্রাম সাব-ক্লাস-482। এই ভিসার ক্ষেত্রে ভিসাপ্রার্থীকে অবশ্যই টিএসএস ভিসার পেশা তালিকার জন্য একটি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক মনোনীত হতে হবে। এই ভিসার জন্য আইইএলটিএসে প্রতিটি ব্যান্ডে ৫ বা সমমানের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকতে হবে। এই প্রোগ্রামের অধীনে যারা অষ্ট্রেলিয়ায় যাবে তারা পরবর্তীতে সাব-ক্লাস ৪৯১ অধীনে স্থায়ী হবার সুযোগ পেতে যাচ্ছে।
সাব-ক্লাস-482 সম্পর্কে অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, মূলত ডিগ্রি পাসধারী দক্ষ ও অভিজ্ঞ বাংলাদেশিদের জন্য এটা বিরাট সুযোগ। বাংলাদেশিরা যদি প্রথম থেকেই দ্রুত ও দক্ষতার সঙ্গে ফাইল প্রসেস করে তবে স্বল্প সময়ে এই ভিসা পাওয়া নিশ্চিত। তিনি আরো বলেন, যেহেতু অস্ট্রেলিয়া ডিমান্ড লিস্টে ৪৩২টি পেশা রয়েছে, সুতরাং অনেকেই বিভিন্ন সাব-ক্লাসে আবেদন করে পরিবারসহ অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ীভাবে বসবাস করার সুযোগটি নিতে পারেন। যেমন: এমপ্লয়ার স্পন্সরশিপ, এমপ্লয়ার নমিনেশন স্কিম (186), স্কিল্ড ইনডিপেনডেন্ট ভিসা 189, 190, স্কিল্ড রিজিওনাল ভিসা (সাব-ক্লাস 489), রিজিওনাল স্পন্সরড মাইগ্রেশন স্কিম (187) । এ ক্ষেত্রে সবাইকে প্রতারকদের হাত থেকে সাবধানে চলার জন্য তিনি উপদেশ দেন। অস্ট্রেলিয়া মাইগ্রেশনের একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি ভিসা নিয়ে আগমনের সঙ্গে সঙ্গে আপনার সন্তানরা কিন্তু প্রতি মাসে সোশ্যাল বেনিফিট পাওয়া শুরু করবে। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো দেশটির বিনামূল্যের স্বাস্থ্যসেবা পরিবারের সব সদস্যের জন্য।
কানাডায় পরিবারসহ স্থায়ী হবার সুযোগ (এক্সপ্রেস এন্ট্রি ও পি.এন.পি):
নতুন ইমিগ্র্যান্টদের জন্য এরই মধ্যে কানাডার ফেডারেল এবং প্রভিনশনাল সরকার তাদের কর্মপদ্ধতি অনুযায়ী কাজ শুরু করেছে। ৬০টির ওপর কানাডায় ইমিগ্রেশন করার পদ্ধতি রয়েছে। প্রফেশনালদের জন্য অনেকগুলো ক্যাটাগরি রয়েছে। তার মধ্যে অন্যতম হলো ফেডারেল ও কুইবেক স্কিল্ড প্রোগ্রাম, প্রভিন্সশনাল নমিনি প্রোগ্রাম, কানাডিয়ান এক্সপেরিয়েন্স ক্লাস, ফেডারেল সেলফ্ এমপ্লয়েড প্রোগ্রাম।
এ ছাড়া রয়েছে ফ্যামিলি ক্লাস স্পন্সরশিপ প্রোগ্রামস। কানাডায় সর্বাধিক সংখ্যক আবেদনকারী এফএসডব্লিউ অ্যান্ড এক্সপ্রেস এন্ট্রি প্রোগ্রামে আবেদন করছে। তা ছাড়া যাদের বয়স একটু বেশী তারা বিভিন্ন পিএনপি প্রোগ্রামের মাধ্যমে নমিনেশন নিয়ে কানাডায় নাগরিকত্ব গ্রহণ করছে। অনেকগুলো পিএনপি প্রোগ্রাম চালু রয়েছে।তাই দেরি না করে ভালো ইমিগ্রেশন আইনজীবীর সহায়তা নিয়ে জেনে নিন আপনি যোগ্য কি না এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রস্তুত করে সঠিকভাবে ফাইল জমা দিন। কমপক্ষে ডিগ্রি পাস, দুই বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা ও ইংরেজি ভাষার চূড়ান্ত দখলের সার্টিফিকেট থাকলেই আপনি আবেদন করতে পারবেন। সাসকাচুয়ান, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, অন্টেরিও, মেনিটোভার মত জনপ্রিয় পি.এন.পি প্রোগ্রামে এখনই আবেদন করা যায়।
স্কিল্ড মাইগ্রেন্ট প্রোগ্রামে স্থায়ী হতে পারেন নিউজিল্যান্ড:
নির্দিষ্ট সময় পর পর স্কিলড মাইগ্রেশন ক্যাটাগরিতে ড্র অনুষ্ঠিত হয়। বছরে প্রায় কয়েক হাজার পরিবার এ প্রোগ্রামের আওতায় নিউজিল্যান্ডের স্থায়ী নাগরিকত্ব (পিআর) পেয়ে থাকেন। এই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশিরাও নিউজিল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ নিতে পারেন।
স্কিলড মাইগ্রেশন ক্যাটাগরি সম্পর্কে ও এই আবেদনের শিক্ষাগত ও অন্যান্য যোগ্যতা সম্পর্কে জানানো হয় নিউজিল্যান্ডের সরকারি ওয়েবসাইটে। এ ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ আইনজীবীর সহায়তা গ্রহণ করতে পারেন। নিউজিল্যান্ডে সম্ভাব্য পেশার মধ্যে রয়েছে জেনারেল প্র্যাকটিশনার, প্যাথলজিস্ট, সাইকোথেরাপিস্ট, সোনোগ্রাফারসহ আরো কিছু খাত। নিউজিল্যান্ড সরকারের ওয়েবসাইটে দেশটিতে চাহিদা থাকা বিভিন্ন পেশার কথা সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া স্টুডেন্ট ভিসা নিয়েও পড়াশোনা করতে পারেন দেশটিতে।
বিদেশে চাকরি নিয়ে যাওয়া বা পরিবারসহ বসবাস করা যাদের স্বপ্ন তারাই আমাদের আইনগত সহায়তা ও পরামর্শ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে পারেন ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডে ঢাকার উত্তরা অফিসে। আপনি আগ্রহী থাকলে দেরি না করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আন্তর্জাতিক অভিবাসন আইন বিশেষজ্ঞ, ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে সরাসরি দেখা করতে ০১৯৮৭৭১৪২৯০, ০১৯০৪০৩৬৮৯৮, ০১৭০৮০৬২২৫৮, ০১৭৮৫৭০০৭৫৮, ০১৯০৪০৩৬৮৯৯ এই নম্বরে ফোন করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট গ্রহণ করা যাবে অথবা পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে পারেন এই ই-মেইল [email protected] ঠিকানায়।
সরাসরি কথা বলতে পারেন ঢাকার উত্তরায় ৭ নম্বর সেক্টরের ৫১ সোনারগাঁও জনপথে অবস্থিত খান টাওয়ারে অবস্থিত ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের কার্যালয়ে।