এ বছর ঈদ নিয়ে ছিল বিভ্রান্তি। ঈদ মঙ্গলবার নাকি বুধবার? রাতে এমন হাজারো প্রবাসীর প্রশ্ন। রোমের ঈদ উদযাপন কমিটি (বাংলাদেশি) ঘোষণা দিল প্রতি বছর যেহেতু সৌদি আরবের সঙ্গে ঈদ এবারও সৌদির সঙ্গে মিল রেখে ঈদ করব।
অপর দিকে রোমের বাংলা কমিউনিটির একটি অংশ চাদঁ না দেখায় বড় মসজিদের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার ঈদ উদযাপন করে।
প্রতি বছরের মত এবারও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদ উদযাপন করা হয় রোমের বিভিন্ন স্থানে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রোমের লারগো প্রেনেসতে বাংলাদেশ সমিতির আয়োজনে ঈদ উদযাপন করা হয়।
স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টায় প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
জামাতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত হয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে প্রবাসী বাংলাদেশিরা একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। পাশাপাশি ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
নামাজে অংশগ্রহণ করে ঈদের শুভেচ্ছা জানান, বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি হাসানুজ্জামান কামরুল, সাবেক সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী বাচ্চু, সিনিয়র সহসভাপতি নায়েব আলী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হোসেন মোল্লা, ইমাম হাসান লিখনসহ আরও অনেকে।
এসময় বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি হাসানুজ্জামান কামরুল বলেন, ধর্মীয় আনুষ্ঠিকতার মধ্য দিয়ে পবিত্র রমজান শেষে ঈদের জামাতে শরীক হয়ে নামাজ আদায় করতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। একই সঙ্গে দুঃখ প্রকাশ করছি এ বছর দুদিন ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মঙ্গলবার অনেকেই ঈদের জামাত করেন। যা সত্যি দেখতে অসুন্দর, বেমানান। সেন্ট্রাল মসজিদকে উপেক্ষা করে সৌদির সঙ্গে ঈদ পালন করা হাদিস কোরআনের আলোকে এর স্বার্থকতা কতটুকু তা বোধগম্য নয়। আল্লাহ সবাইকে কোরআন ও হাদিসকে বুঝার সঠিক জ্ঞান দান করুন।
রোমের লারগো প্রেনেসতে ছাড়াও দ্বিতীয় দিনে রেদি রোমা, কর্নেলিয়াসহ অন্যান্য স্থানে ঈদের নামাজ আদায় করেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
উল্লেখ্য, এ বছর ঈদ জামাত নিয়ে চরম বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিরা দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে ঈদের নামাজ আদায় করেন। ফলে স্থানীয় ইতালিয়ানদের মাঝে প্রশ্ন জাগে সবাই যখন মুসলমান তবে কেন ভিন্ন দিনে ঈদ উদযাপন।
বিডি প্রতিদিন/কালাম