জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিউইয়র্কে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। গত রবিবার জ্যামাইকার স্মার্ট একাডেমিয়াতে এই সভার আয়োজন করে নিউইয়র্কস্থ ‘হুমায়ূন আহমেদ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন’। শুরুতে জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ইমাম আবু জাফর বেগের নেতৃত্বে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য, নিউইয়র্কে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২০১২ সালের ১৯ জুলাই ম্যানহাটানে বেলভ্যু হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সকল বয়েসী পাঠকের প্রিয় এই লেখক।
হুমায়ূন ফাউন্ডেশনের প্রধান উপদেষ্টা এবং হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন এক আবেগঘন বক্তব্যে তার গত সাত বছরের কঠিন জীবনের কথা তুলে ধরেন। এ সময়ে অনেকেই আবেগে আপ্লুত হন। ক্যান্সার হাসপাতাল ও জাতীয়ভাবে হুমায়ুন আহমেদ মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন, এই কাজে হুমায়ূন আহমেদের পুরো পরিবারকে সম্পৃক্ত হওয়া দরকার।
কালজয়ী সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন এক স্বপ্নের জাদুকরের নাম। মানুষের মনে স্বপ্ন জাগরণ ও বিস্তারে তার তুলনা ছিল না। তার স্বপ্নের ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপনের ভাবনা নিয়ে কথা বলেন হুমায়ূন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা লেখক ও চিকিৎসক ডা. সিনহা মনসুর, ডা. সজল আশফাশ, ডা. ইউসুফ আল মামুন এবং ডা. চৌধুরী সারওয়ারুল হাসান।
ফাউন্ডেশনের সভানেত্রী মুনিয়া মাহমুদ ফাউন্ডেশনের অতীত কার্যক্রমের কিছু অংশ তুলে ধরেন। বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের বাংলা শিক্ষার উপর গুরুত্ব আরোপ এবং দেশে ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণের জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন হুমায়ূন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা নুরুদ্দিন মাহমুদ, নিশাদ হুমায়ূন, নিনিত হুমায়ূন, কচিকণ্ঠের সভাপতি এবং হুমায়ূন ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা হেমায়েত হোসেন, কণ্ঠশিল্পী লিসা জামান, কাউসার পারভিন, লেখক ও কবি পলাশ ফাতিমা শামশাদ, সারওয়ার হাবিব, কবি শামীম আরা আফিয়া, কুহেলি মুন্নি, ব্যবসায়ী মো. আতাহার উদ্দিন, সাংবাদিক শামিম শাহেদ, লেখক শামশাদ হুসাম, কবি ছন্দা বিন্তে সুলতান, সুফিনাজ স্বপ্না, নূর নাজিয়া সাবা, তাসলিমা মালিক মিনা, শিরীন ইসলাম, কবি জায়েদ প্রমুখ। পুরো অনুষ্ঠানের উপস্থাপনায় ছিলেন শামীম আল আমিন।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব