আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটির সকল মসজিদের আশপাশে জুমার নামাজের সময় গাড়ি পার্কিংয়ের অবাধ অনুমতির বিল উঠেছে নিউইয়র্ক সিটি কাউন্সিলে। ‘প্রেয়ার ইক্যুইটি’ শিরোনামের এই বিল উত্থাপন করেছেন কুইন্সের সিটি কাউন্সিলম্যান কস্টা কন্সট্যান্টিনাইডস (ডেমক্র্যাট)। উল্লেখ্য, এই সিটিতে বাংলাদেশিদের পরিচালনাধীন অর্ধ-শতাধিক মসজিদসহ দেড় শত মসজিদ রয়েছে। গুটিকতক মসজিদ বাদে সর্বত্র গাড়ি পার্কিংয়ের অবাধ সুযোগ নেই। এর ফলে প্রায় শুক্রবারেই মুসল্লিদের জরিমানা গুণতে হয় বেআইনিভাবে গাড়ি পার্ক করার জন্য। এ নিয়ে বেশ কয়েক বছর থেকেই কর্তৃপক্ষের সাথে দেন-দরবার চলছে। কিন্তু কার্যকর কোন ফায়দা আসেনি। এমন অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশিদের বন্ধু হিসেবে পরিচিত এই কাউন্সিলম্যান সিটি কাউন্সিলে বিল উত্থাপন করলেন।
এ প্রসঙ্গে এই কাউন্সিলম্যানের অফিসে কর্মরত বাংলাদেশি জয় চৌধুরী জানান, বিলটি পাশ হলে জুমার নামাজের সময় অর্থাৎ বেলা ১২টা থেকে দুইটা পর্যন্ত মসজিদের সামনে ও আশপাশের রাস্তায় মুসল্লিরা নির্দ্বিধায় গাড়ি পার্ক করার সুবিধা পাবেন অর্থাৎ ওই সময়ে পার্কিং মিটার সাসপেন্ড থাকবে। এই বিলে শুধুমাত্র জুমার নামাজের প্রসঙ্গ উল্লেখ করা হলেও মূলত তা হিন্দু-বৌদ্ধসহ অন্য ধর্মাবলম্বীদের বড় ধরনের ধর্মীয় উৎসবের সময়েও কার্যকর হবে।
উল্লেখ্য, খ্রিস্টান এবং ইহুদি সম্প্রদায়ের জন্য শনি ও রবিবার তাদের সিনেগগ এবং চার্চের সামনে ও আশপাশে পার্কিং মিটার সাসপেন্ডের বিধি অনেক আগেই চালু হয়েছে।
মুসলিম সম্প্রদায়ের স্বার্থে এমন একটি উদ্যোগ গ্রহণের জন্যে কাউন্সিলম্যান কস্টাকে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি নিজ নিজ কাউন্সিলম্যানের সাথে এ নিয়ে দেন-দবারের আহ্বানে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটস মসজিদে এক সুধী সমাবেশ হয়। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কুইন্স ডেমক্র্যাটিক পার্টির ডিস্ট্রিক্ট লিডার এটর্নি মঈন চৌধুরী, কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট মোর্শেদ আলম, মাজেদা এ উদ্দিন এবং রাসেল কবীর, কমিউনিটি বোর্ড মেম্বার আব্দুর রহিম হাওলাদার, আব্দুল মুকিত চৌধুরী, শাহনেওয়াজ, মাকসুদ এইচ চৌধুরী, পুলিশ অফিসার শামসুল হক, রাশেদ আহমেদ, মসজিদের কর্মকর্তা এম এ হাকিম ও জাফর চৌধুরী।
সকলেই নিজ নিজ এলাকার মসজিদের মুসল্লিসহ বিশিষ্টজনদের অনুরোধ জানাবেন এ নিয়ে সোচ্চার হবার জন্যে। এ সময় প্রদত্ত বক্তব্যে কাউন্সিলম্যান কস্টা বলেন, ৫১ সদস্যের সিটি কাউন্সিলে এ বিল পাশ হতে ২৬ ভোট লাগবে। অর্থাৎ সকল ডেমক্র্যাট ভোট দিলেই তা আইনে পরিণত হওয়া সম্ভব। তাই সকলে যদি চেষ্টা করেন তাহলে এ বছরই তা পাশের সম্ভাবনা রয়েছে।
বিডি-প্রতিদিন/মাহবুব